আজই শেষ হচ্ছে কুম্ভ। মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে ‘শাহি স্নান’-ই এ বারের কুম্ভে শেষ পুণ্য স্নান। কুম্ভমেলায় বিপুল সংখ্যায় ভক্তদের সমাগম নতুন নয়। প্রায়ই রেকর্ড অঙ্ক স্পর্শ করে এই সংখ্যা৷ তবে এই বারের রেকর্ড নাম তুলে ফেলল গিনেস বুকেও! আর এই সুযোগেই কুম্ভের সাফল্যকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার ফন্দী করছে বিজেপি।
উত্তরপ্রদেশ সরকার এই কুম্ভমেলার ভিড় নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছতার জন্য প্রচুর ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। এবং সেই কারণেই গিনেস বুকে নাম তোলার সম্মান এসেছে বলে দাবি বিজেপি সরকারের৷ জানা গেছে ২০১৩ সালে কুম্ভমেলার জন্য সরকার খরচ করেছিল প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকা৷ সেই অঙ্কটায় যোগী-মোদী সরকারের আমলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪,২৩৬ কোটি টাকায়৷ এই টাকার মধ্যে ২০০০ কোটি টাকা দিচ্ছে যোগী সরকার৷ বাকি অর্থ দিচ্ছে কেন্দ্র। আর একেই তুলে ধরতে চাইছে মোদী সরকার। ভোটের আবহে কুম্ভ দিয়েই ভোট ব্যাঙ্ক টানার মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি।
প্রতি ১২ বছরে একবার পূর্ণকুম্ভের তিথিতে মেলা বসে প্রয়াগরাজ অর্থাৎ এলাহাবাদ, হরিদ্বার, নাসিকে৷ একই ভাবে প্রতি ছ’বছের অনুষ্ঠিত হয় অর্ধকুম্ভ৷ ২০১৩ সালের পরে আবার ২০১৯-এর ১৫ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল কুম্ভমেলা৷ ২০১৩ সালে প্রায় ১২ কোটি মানুষ এই মেলায় এসেছিলেন৷ সূত্রের খবর, এবারে পূণ্যার্থী সমাগমের সংখ্যাটা সেটা ছাড়িয়ে গিয়েছে৷