ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমে সরকারি তালিকাভুক্ত হাসপাতালে ইন্ডোর চিকিৎসায় এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেসের সুবিধা পাওয়া যায়। তার অতিরিক্ত খরচ হলে কর্মী কিংবা অবসরপ্রাপ্তদের নিজেদের পকেট থেকে সেই টাকা মেটাতে হয়। পরবর্তীকালে তা অবশ্য সরকারের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া যায়। অর্থাৎ, চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরকারের কাছে জমা পড়ার পর, তা পরীক্ষা করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এবার রাজ্য সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য সুখবর দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ ফর অল এমপ্লয়িজ অ্যান্ড পেনশনার্স ক্যাশলেস মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট স্কিম (২০১৪)-এর টাকা আরও দ্রুত পাওয়া সুনিশ্চিত করতে অভিনব পদক্ষেপ করল অর্থ দফতর। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে চিকিৎসা খাতে কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের ক্যাসলেস বিমার ঊর্ধ্বসীমা পেরনো অতিরিক্ত টাকা দ্রুত অনুমোদনের ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।
অর্থ দফতরের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক লক্ষের পরে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাসপাতালের ইন্ডোর চিকিৎসা খাতের টাকা দ্রুত মেটাতে সংশ্লিষ্ট অফিস-প্রধানকে চূড়ান্ত অনুমোদনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যদিও তার বেশি টাকার ক্লেম হলে, তার জন্য দফতর কিংবা ডাইরেক্টরেটের অনুমোদন নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে অর্থ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিলের খরচ সরকারি কর্মী-অবসরপ্রাপ্তদের মেটাতে হয় না। এমপ্যানেল্ড হাসপাতালের ক্ষেত্রে ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যায়। ওই কর্তার দাবি, নথি বলছে সরকারি কর্মী কিংবা অবসরপ্রাপ্তদের সিংহভাগ চিকিৎসা বিল মোটের উপর দেড়লক্ষ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। এক্ষেত্রে এক লক্ষের উপরের টাকা নিজেদের পকেট থেকে দিতে হয় সংশ্লিষ্টদের। প্রতিটি দপ্তর কিংবা ডাইরেক্টরেটে এ ধরনের শয়ে শয়ে বিল দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকে। যার ফলে অনেকেরই সমস্যা হয়। তাই এই অভিনব সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।