গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতেই তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার তাঁকে পিজিতে রেফার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। খবর দেওয়া হয় পিজি হাসপাতালকেও। আইটিইউতে এক্সট্রা ১ শয্যা নির্ধারিত করা হয় তাঁর জন্য। আইটিইউ ইনচার্জ ডাঃ রজত চৌধুরীকেও বিষয়টি জানানো হয়। এরপর বড়মাকে কল্যাণী থেকে অ্যাম্বুলেন্সে পিজিতে আনা হয়। সঙ্গে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের একটি মেডিক্যাল টিমও ছিল। জানা গেছে তাঁর নিউমোনিয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শতায়ু বড়মা। তড়িঘড়ি কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁর। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও ওঠানামা করছে। হাসপাতাল ও মতুয়া সংঘের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি রাখা হচ্ছে না। ২৪ ঘণ্টা তাঁকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চিকিৎকদের আশা, বড়মাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে।
এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সংকট এখনও না কাটলেও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। বড়মার দ্রুত আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করছেন প্রত্যেকেই। অন্যদিকে পুত্রবধূ মমতাবালা ঠাকুর জানিয়েছেন, আরও উন্নত চিকিৎসার স্বার্থেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে বড়মাকে। কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে যাঁরা বড়মার চিকিৎসা করছিলেন তাঁরাও জানিয়েছেন, রবিবার পুনরায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বীণাপাণিদেবীর। সে কারণেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রবিবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বড়মাকে। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছাড়াও বড়মার সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ও তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। রবিবার বিকেলে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বড়মা। কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁর চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করছে রাজ্য সরকার।