২৭ তারিখ পাক যুদ্ধবিমান এফ ১৬-কে ধাওয়া করতে মিগ ২১ নিয়ে পাকিস্তানে হানা দিয়েছিলেন অভিনন্দন। সেখানেই গুলি করে নামানো হয় তাঁর বিমান। নিজেকে ‘ইজেক্ট’ করে প্যারাস্যুট নিয়ে সে দেশের মাটিতে নামেন তিনি। ধরা পড়েন পাক সেনার হাতে। অসম্ভব স্নায়ুর চাপ সহ্য করে আটক থাকেন ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময়। তারপর শুক্রবার দেশে ফেরেন অভিনন্দন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সৌজন্যবোধ দেখিয়ে অভিনন্দনকে ছেড়েছেন ঠিকই, কিন্তু ফেরত দেননি তাঁর পিস্তল। যেটা অভিনন্দনের সঙ্গে ছিল। অভিনন্দন বন্দী হওয়ার পর তা নিজেদের কাছে জমা রেখে দেয় পাক সেনা। কিন্তু দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর অভিনন্দনের পিস্তলটি তাঁকে ফেরত দেয়নি পাক সরকার।
গত বুধবার মিগ–২১ বিশন পাক যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া করে পাকিস্তানে চলে যায়। সেই বিমানের উইং কমান্ডার ছিলেন অভিনন্দন। প্যারাশুট করে তিনি যখন পাকের মাটিতে পা দেন, তখন স্থানীয়দের থেকে বাঁচার জন্য তিনি তাঁর পিস্তল বের করে শূণ্যে গুলি চালান। সেই পিস্তলটিকেই রেখে দিয়েছে পাক সরকার। পিস্তল ফেরত না দিলেও অভিনন্দনের আংটি, ঘড়ি এবং চশমা দিয়ে দেয় পাক সেনারা।
সূত্রের খবর, অভিনন্দন কোনওভাবেই যুদ্ধের বন্দী ছিলেন না। তাও পাকিস্তান সরকার তাঁকে রেহাই দেওয়ার সময় তাঁকে যে শংসাপত্র দিয়েছে, তাতে নম্বর দেওয়া হয়েছে ২৭৯৮১। যেটা দেখে ভারত একটু অবাক হয়েছে। পাকিস্তানি সেনা কেন এটা করেছে, তা নিয়ে জবাব চেয়েছে দিল্লি। জানা গিয়েছে, অভিনন্দনের কাছে ম্যাপ এবং সারভাইভাল কিট সহ বেশ কিছু তথ্য ছিল। কিন্তু বন্দী হওয়ার আগে তা তিনি নষ্ট করে দেন। শুক্রবার অভিনন্দন আটারি–ওয়াঘা সীমান্ত যখন পার করেন তখন তাঁর সঙ্গে কোনও ব্যাগ ছিল না। তিনি সাধারণ পোশাকেই দেশের মাটিতে পা দেন। সঙ্গে ছিল তাঁর চশমা, আংটি এবং ব্লু ক্যাসিও জি–শক ঘড়ি।