কংগ্রেসের রাহুল এবং সোনিয়া গান্ধীকে বিঁধতে গিয়ে ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সেই অসংবেদনশীল আচরণের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হতেই নিন্দায় সরব হন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।
ওই ভিডিওয় দেখা গেছে, একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন মোদী। প্রতিযোগিতাটি ছিল, মা-সন্তান জাতীয় সমস্যাগুলিকে কী ভাবে প্রযুক্তি দিয়ে মেটানো যায়, সে বিষয়ে নানা রকম ধারণার কথা বলছেন পড়ুয়ারা। এই প্রতিযোগিতায় নানা কথা বলতে গিয়েই ওঠে ডিসলেক্সিয়া প্রসঙ্গ। দেরাদুনের এক এঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী বলেন, ‘যে সমস্ত ডিসলেক্সিক বাচ্চাদের শেখার গতি খুব ধীর, যারা অনেক সময় নেয় লিখতে, অথচ বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতা খুবই বেশি, যেমন ‘তারে জমিন পর’ সিনেমাটায় দেখা গেছে দর্শিল বলে ছেলেটি….’। এতটা বলার পরেই মোদী তাঁকে থামিয়ে মন্তব্য করেন, ‘এই প্রোগ্রামিং কি ৪০-৫০ বছর বয়সের ধেড়ে খোকাদের ক্ষেত্রেও একই কাজ করবে’? হাসির রোল ওঠে প্রেক্ষাগৃহে। হাততালিতে ফেটে পড়ে ঘর। হাসতে থাকেন মোদী নিজেও। ওই ছাত্রী অবশ্য একটুও না ঘাবড়ে উত্তর দেন, ‘হ্যাঁ স্যার, সব বয়সের জন্যই কাজ করবে’। মোদী না থেমে ফের বলেন, ‘তা হলে এ রকম বুড়ো খোকাদের মায়েরা খুব খুশি হবেন’।
ঘটনাটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হতেই নিন্দার ছুরি শানিয়েছন বিরোধীরা। সমালোচনা করতে ছাড়েননি সাধারণ মানুষও। কেউ বলেছেন, এটা চূড়ান্ত অসংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন মোদী। কেউ বলেছেন, ডিসলেক্সিয়ার মতো একটা সিরিয়াস সমস্যা নিয়ে তিনি কী ভাবে মজা করতে পারেন! এই নিয়ে কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের গোয়ার শাখা ডিসলেক্সিক শিশুদের বিষয়ে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, জাতিপুঞ্জ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
