আগামীকাল হাওড়া-দিল্লী রাজধানী এক্সপ্রেসের পঞ্চাশ বছর পূর্তি। গত পঞ্চাশ বছরে নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল, রাজনীতি থেকে সংস্কৃতি, পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুর। শুধু এক রয়ে গেছে রাজধানীর গতি, ঐতিহ্য ও আভিজাত্য। রবিবার এই ট্রেনের অর্ধশতাব্দী পূর্ণ হতে চলেছে। অনেক পরিবর্তন সত্ত্বেও আভিজাত্যের মাপকাঠিতে অর্ধশতাব্দী ধরে নিজেকে অনন্য করে রাখাটাই রাজধানীর প্রাপ্তি।
নতুন প্রজন্মও রাজধানীকে যথাযোগ্য ভালোবাসা দেয়। সময় বাঁচাতে প্লেনে যাতায়াত করা সুবিধাজনক মনে করা এই প্রজন্মও, ঐতিহ্যকে ভালোবেসে আভিজাত্যের নিরিখে রাজধানী এক্সপ্রেসকে মান দেন। পুরোনো যাত্রীরা এখনও নিজেদের ‘রাজধানীর যাত্রী’ বলতে তৃপ্তি পান। প্রায় চার-পাঁচ দশক আগে প্রথম রাজধানী চড়েছিলেন, ভবানীপুরের মহেশ শাহ তখন স্কুলে পড়েন। তাঁর কাছে রাজধানী ভালোলাগা, নস্টালজিয়া। তাঁর কথায়, “দিল্লী যাওয়ার অনেক ট্রেন আছে ঠিকই, কিন্তু আমার প্রথম পছন্দ রাজধানীই”। অনেক যাত্রীদের মতে, “ছোটবেলায় দেখতাম, পরিচিত কেউ এই ট্রেনে যাতায়াত করলে সেটাই বলে বেড়াতেন। বুঝতে অসুবিধা হত না, অন্য ট্রেনে চাপা আর রাজধানীতে চাপা আলাদা ব্যাপার”।
পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে রবিবারের রাজধানীর খাবারের তালিকায় ফিরবে ঠিক প্রথম দিনের মেনু। এখনকার মেনুর সঙ্গে ওই দিন মিলবে ফিশ ফ্রাই, রসগোল্লা এবং এসি ফার্স্ট-এ দেওয়া হবে ক্রিম ক্যারামেল পুডিং। প্রতি যাত্রীর মোবাইলে পাঠানো হবে শুভেচ্ছাবার্তা। যাত্রীদের স্বাগত জানানোর জন্য দেওয়া হবে ফুল, গ্রিটিংসকার্ড। সুতরাং একথা বলাই যায়, ৫০ বছর পেড়িয়ে আভিজাত্যে ও ঐতিহ্যে একই আছে রাজধানী এক্সপ্রেস।