শুক্রবার এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে রাজ্যের পরিবেশ দফতর এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের যৌথ উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বায়ুদূষণ নিয়ে সদর্থক প্রশংসা কুড়োল রাজ্য। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, অদূর ভবিষ্যতে বাংলায় বড় রকম সহায়তা আসতে পারে তাদের থেকে।
বিশ্বব্যাঙ্কের ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম লিডার সুমিলা গুলিয়ানি বলেন, “ভারতে এ পর্যন্ত আমরা প্রজেক্ট নির্ভর সহায়তা দিতাম। এখন আমরা আমাদের স্ট্র্যাটেজি বদলে কিছু রাজ্যকে বেছে তাদের প্রয়োজনমতো প্রজেক্টে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আগামী সপ্তাহে আমাদের জাতীয় অধিকর্তা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক উচ্চ নেতৃত্বর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বায়ুদূষণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে বলে কর্মশালায় তাদের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। যেগুলি বেশ সদর্থক বলে মনে হয়েছে আমাদের”।
বেসরকারি এক সংস্থার সমীক্ষায় ধরা পড়েছে এই শহরের বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ যানবাহনের ধোঁয়া। এই যানবাহনের ধোঁয়া এবং সার্বিক ভাবে বায়ুদূষণ বিপন্ন করেছে মেক্সিকো, চিন, চিলির মতো দেশকেও। চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুই সিফুইয়েনটেস জানান, “বায়ুদূষণ রোধে সার্বিক ভাবে পরিকল্পনা করতে হয় এবং এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী পদ্ধতি। নিয়মের কড়াকড়ি, পুরোনো যান বদল, এমনকী মানুষের কাছে বিকল্প উপায় প্রকাশ করে তবেই পরিস্থিতির বদল আনা সম্ভব। চিলিতে এ সব করেই ধীরে ধীরে বায়ুদূষণের পরিস্থিতির বদল আসছে”। শহরের এই দূষণের সমস্যাগুলির সমাধান সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ছোট ছোট সমস্যা যেমন জঞ্জাল পোড়ানো বন্ধ করতে হবে, গাছ কাটা চলবে না, প্রকাশ্যে কয়লা জ্বালানো, নির্মাণ এলাকা থেকে বেরনো ধূলো নিয়ন্ত্রণের মতো পদক্ষেপ নিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ, বন্যারোধে দুর্গাপুর ব্যারাজ লাগোয়া ক্যানালের মেজর ইরিগেশন প্রজেক্ট-সহ অ্যাগ্রিকালচারাল বিজনেস ডেভেলপমেন্টের মতো তিনটি প্রকল্পে বিশ্বব্যাঙ্কের সহযোগিতা চেয়ে ইতিমধ্যেই প্রকল্প জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার। মোট ছ’টি রাজ্যেকে পার্টনার স্টেট করতে চায় বিশ্বব্যাঙ্ক। সে কারণেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্যের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় বসেছিলেন বিশ্বব্যাঙ্কের ভারতীয় অধিকর্তারা।