বুধবার ভোরবেলা দক্ষিণ কাশ্মীরের নৌশেরা সেক্টর দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে পাক যুদ্ধবিমান এফ-১৬। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার র্যাডারে তা ধরা পড়ে যায়। প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সে সময় পালানোর চেষ্টা করে এফ-১৬। সেনা সূত্রে খবর, পালানোর সময় পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টরে বোমাবর্ষণ করে এই পাক যুদ্ধবিমান। এরপরেই এফ-১৬-কে গুলি করে নামায় ভারতীয় বায়ুসেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতেই হদিশ মিললো পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এফ-১৬-এর ধ্বংসাবশেষের।
গত বুধবার নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এই যুদ্ধবিমান ঢুকেছিল ভারতে। নিশানায় ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি। ভারত-পাক বায়ুসেনা সংঘর্ষের ২৪ ঘণ্টা পর এমনই বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল ভারতীয় সেনাবাহিনী। যদিও পাক রেঞ্জার্সের মুখপাত্রে মেজর জেনারেল আসিফ গফুর সম্পূর্ণ অন্য তথ্য দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারত দাবি করছে তারা একটি এফ-১৬-কে গুলি করে নামিয়েছে। কিন্তু আমরা কোনও এফ-১৬ বিমান পাঠাইনি”।প্রশ্ন ওঠে যদি তারা বিমান নাই পাঠিয়ে থাকেন তাহলে বিমানের টুকরো কিভাবে পাওয়া গেল?
সেনা সূত্রে খবর, প্রায় ৪৮ বছর পর পাকিস্তান এবং ভারতের বায়ুসেনার মধ্যে এ ধরনের সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগেই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান। বালাকোটের জইশ-ই-মহম্মদের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স। তাদের দাবি, প্রায় ৩৫০ জঙ্গি খতম হয়েছে এই প্রত্যাঘাতে। তাদের মধ্যে রয়েছে, জইশ চিফ মাসুদ আজহারের বড় ভাই ইব্রাহিম আজহার, ছোট ভাই মৌলানা তলহা সইফ এবং শ্যালক ইউসুফ আজহার। ১৯৯৯ সালে কন্দহর বিমান হাইজ্যাকের ঘটনার অন্যতম চক্রী ছিল ইউসুফ ও ইব্রাহিম। এ দিন ভারতীয় বায়ুসেনার একটি যুদ্ধবিমান মিগ ২১ বাইসনকে গুলি করে নামায় পাকিস্তান সেনা। ওই বিমানের উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন এখনও রয়েছেন পাকিস্তানের কব্জায়। আগামীকাল তাঁকে ভারতে ফেরানো হচ্ছে।