মঙ্গলবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের এক যৌথ অভিযানে রঘুনাথগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হল দুই জামাত জঙ্গীকে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড কওসরকে ছিনতাই করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল মসিবুর রহমান এবং রাহুল আমিন নামের দুই জঙ্গী।
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনই বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠন জামাতের ঘনিষ্ট। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ সালফিউরিক অ্যাসিড, অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়ো-সহ অন্যান্য বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের অনুমান, অ্যাসিড বোমা তৈরির জন্যই এই সমস্ত মজুত করেছিল তারা। মুর্শিদাবাদ থেকে বুধবার সকালে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় দু’জনকে।
২০১৪ সালে গান্ধী জয়ন্তীর দিন বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। একটি বাড়ির দোতলায় জামাত জঙ্গিদের ঘাঁটিতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রথমে বর্ধমান পুলিশের তরফে বলা হয় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু পরে জানা যায় আরডিএক্স ফেটেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মূল চক্রী কওসর আলি আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। কওসরকে পুলিশ ভ্যান থেকে ছিনতাই করার ছক করেছে জামাত গোষ্ঠী। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত দেড় মাস ধরে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় আস্তানা বদল করেছে মসিবুর এবং রাহুল। প্রায় পনেরো দিন আগে জলঙ্গিতে এদের নাগালে পেয়েও পুলিশ ধরতে পারেনি। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে ডেরায় গিয়ে দুই জঙ্গিকে ধরে পুলিশ। খাগড়াগড় কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কওসর বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণেও অন্যতম অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ মামলার শুনানির জন্য কলকাতা থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে কওসরকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে।