পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার বদলা নিতেই মঙ্গলবার সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে মোক্ষম জবাব দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এরপর আবার মঙ্গলবার সন্ধে নামতেই কাশ্মীরের সাত জায়গায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাক সীমান্তরক্ষী বাহিনী। নৌসেরা, আখনুর, কৃষ্ণঘাঁটি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শুরু হয় গোলা বর্ষণ। তারও জবাব দেয় ভারত। আজ সকালেই ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে পাক বিমান। ভারতীয় আকাশসীমান লঙ্ঘনের চেষ্টা করে পাক বিমান এফ-১৬। গুলি করে নামানো হয় সেই বিমান। নৌসেরা সেক্টরের লামবেইলীতে পাক বিমানটিকে গুলি করে নামানো হয়৷ এর ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সীমান্তে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই ভারতে বেশ ৬ টি বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানও। তারাও বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে উড়ান বন্ধ রাখছে বলে খবর।
কাশ্মীরে শ্রীনগর, জম্মু ও লেহ বিমানবন্দরে অসামরিক বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হল। সেই সঙ্গে পঞ্জাবের দু’টি বিমানবন্দরও বন্ধ রয়েছে। সেগুলি হল চণ্ডীগড় ও অমৃতসর। উত্তরাখণ্ডে দেরাদুন বিমান বন্দরও বন্ধ রয়েছে। পাকিস্তানেও কয়েকটি বিমান বন্দর বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা যায়। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, ‘অপারেশনাল’ কারণে এয়ার স্পেস বন্ধ রাখা হয়েছে। এর বেশি তিনি কিছু বলেননি। অনেকের মতে, যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে এয়ার স্পেসে সেনাবাহিনীর বিমান চলাচল বেড়ে যায়। অনেক সময় যুদ্ধবিমান রানওয়ে ব্যবহার করে। এই সময় বাণিজ্যিক বিমান চলাচল করলে সাধারণ মানুষের বিপদ ঘটতে পারে। তাই এক্ষেত্রে বন্ধ রাখা হয় অসামরিক বিমান চলাচল।
এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সতর্ক ভারত। পাকিস্তান ও পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় ভারতীয় নাগরিকদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক ভারত সরকার। সেই কারণেই জম্মু-কাশ্মীরের আকাশসীমায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হল। সংবাদ সংস্থা এএনআই ট্যুইট করে জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের তিনটি বিমানবন্দরে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লেহ, জম্মু ও শ্রীনগর বিমানবন্দরে জারি করা হয়েছে কড়া সতর্কতা।