আধা সামরিক বাহিনীর গাড়িতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী গোষ্ঠীর আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর, ঠিক ১২ দিনের মাথায় এবার পাল্টা দিল ভারত। আর চুপ করে বসে না থেকে পুলওয়ামার জবাব হিসেবে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে পাকিস্তানের ভূখন্ডে থাকা একের পর এক জঙ্গী ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনা। সেনা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ এই স্ট্রাইক শুরু করে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, যে উদ্দেশ্য নিয়ে স্ট্রাইক করেছিল ভারত তাতে পুরোপুরি সফল।
খবর পাওয়া মাত্রই এই সফল বিমান হামলার তারিফ করে ভারতীয় বায়ুসেনাকে প্রশংসায় ভারিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় বায়ুসেনাকে তারিফ করে বললেন, ‘আইএএফ-এর অর্থই হল ইন্ডিয়াস অ্যামেজিং ফাইটার্স। জয় হিন্দ।’
এই আনন্দের খরব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তেই উত্সবের মেজাজে মেতে উঠেছে নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। সকলেই সাধুবাদ জানাচ্ছে বায়ু সেনাকে। এই প্রসঙ্গে জেলায় জেলায় রাজনৈতিক নেতা, সমাজের বিশিষ্টজন, কলেজ পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ কি বলছেন। রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরা পুলওয়ামার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, আমাদের বীর সেনারা পাকিস্তানের জঙ্গিদের যোগ্য জবাব দিয়েছে। একজন ভারতবাসী হিসেবে তিনি এই ঘটনায় গর্বিত বলে জানান।
তালডাংরার যুবক দেবাশীষ সত্পতি বলেন, বায়ু সেনার এই প্রত্যাঘাতের পর জঙ্গিদের উস্কানি দেওয়ার আগে পাকিস্তান বেশ কয়েকবার ভাবতে বাধ্য হবে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারত সম্পর্কের অবনতি যেমন চায় না, তেমনি ভারতকে আক্রমণ করলে তা মুখ বুজে সহ্যও করে না। এই ঘটনা ফের আর একবার প্রমাণ করলো বলে তিনি মনে করেন।
পেশায় কৃষক সিমলাপালের দীপঙ্কর সিংহমহাপাত্র বলেন, কি ভেবেছে ওরা! আমাদের দেশের তরতাজা চল্লিশটা প্রাণ কেড়ে নিয়ে ওরা পার পেয়ে যাবে। চল্লিশের পরিবর্তে চারশো কেন চার হাজার প্রাণ নিতে প্রস্তুত আমাদের দেশের বীর সেনারা। আজকের ঘটনা তার সামান্যতম প্রমাণ। ভবিষ্যতে আরও প্রত্যাঘাতের জন্য যেন তৈরি থাকে পাকিস্তান। এমনটাই মনে করেন তিনি।
জেলার একটি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রিমা পাত্র বলেন, পুলওয়ামার ঘটনা টিভিতে দেখার পর বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলাম। এমনটাও সম্ভব! অপেক্ষা করছিলাম এই দিনটার জন্য। আজ সকালে টিভিতে বায়ু সেনার এই সাফল্যের খবর দেখার পর আমাদের দেশের সেনাদের জন্য গর্বে হচ্ছে।