সোমবার ইস্টবেঙ্গল-আইজল ম্যাচের পরে লাল-হলুদ-এর আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সমীকরণ প্রবল কঠিন হয়ে গেল। আই লিগ তালিকায় ইস্টবেঙ্গল এখনও দু’ নম্বরে। কিন্তু চেন্নাই-এর সঙ্গে ব্যবধান সাত পয়েন্টের। চেন্নাই অবশ্য এক ম্যাচ বেশি খেলেছে লাল-হলুদ-এর থেকে। চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এদিন আইজলের বিরুদ্ধেও একই ফল। অথচ এদিন হাসতে হাসতেই মাঠ ছাড়তে পারতেন এনরিকেরা। খেলার শেষ বাঁশির আগে জবি জাস্টিন একাই দুটো গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন। এই জবিই এবার লাল-হলুদে রং ছড়িয়েছেন। মোক্ষম সময়ে থেমে গেলেন মালায়লি স্ট্রাইকার। ওই গোল দুটো হয়ে গেলে চেন্নাই-এর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলতে পারত লাল-হলুদ।
এই আইজলের কাছে প্রথম সাক্ষাতে হারতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে । এবার হল ড্র। চেন্নাই-এর সঙ্গে দুটো সাক্ষাতেই মাথা নীচু করতে হয়। ঘরের মাঠে মিনার্ভা পঞ্জাব এসে মাটি ধরিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। এত কিছু পরেও আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গন্ধ পেতে শুরু করেছিল লাল-হলুদ শিবির । তার জন্য অবশ্য নিজেদের জিততে হতো। সেই সঙ্গে অপেক্ষায় থাকতে হতো চেন্নাই কখন পয়েন্ট নষ্ট করে। ইস্টবেঙ্গল হাঁটল অন্য রাস্তায়। নিজেরা ম্যাচ জিতল না। এভাবে তো আর আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না!
এদিন ২৩ মিনিটে ডোডোজের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। আলফ্রেডের লম্বা বল ধরে ডোডোজ এগিয়ে দেন আইজলকে। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স ডোডোজকে অফসাইডের ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল। গোলকিপার রক্ষিথ ডাগার ও রক্ষণের দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল অনেকটাই। সেই সুযোগে ডোডোজ বোরহাদের পিছনে ফেলে এগিয়ে দেন স্ট্যানলি রোজারিওর দলকে। এই স্ট্যানলি অতীতে লাল-হলুদ-এর রিমোট কন্ট্রোল বয়েছিলেন। ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের চেয়ার থেকে। এদিন প্রাক্তন লাল-হলুদ কোচের চালেই আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন প্রায় শেষ হয়ে গেল।
শেষ ২০ মিনিট দশ জনের আইজলকে পেয়েও কিছু করতে পারলেন না আলেসান্দ্রোর হেভিওয়েট ফুটবলাররা। হ্যঁা, এবারের আই লিগটা সেই পোস্টই খেয়ে নিল। এবার কারও দিকে না তাকিয়ে চেন্নাই সিটি এফ সি বাকি ২টি ম্যাচে ২ পয়েন্ট পেলেই চ্যাম্পিয়ন। কারণ, ইস্টবেঙ্গল বাকি তিনটি ম্যাচ িজতলেও থামবে গিয়ে ৪২ পয়েন্টে।