জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই কাশ্মীরিরা সারা ভারতের বিভিন্ন অংশে আক্রান্ত হচ্ছে। এমনকি কাশ্মীরি পড়ুয়াদের ওপরও হামলা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। জয়পুর, মোহালি, আম্বালা, ব্যাঙ্গালুরুর মতো শহরে বেশিরভাগ কাশ্মীরি পড়ুয়ারা পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়া এ নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগ)। প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাশ্মীরি পড়ুয়ারা যাতে সুরক্ষিত থাকে, এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে ইউজিসি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর কাশ্মীরিদের উপর সাধারণ মানুষের রোষ নজর কাঁড়ছে। ইউজিসি তাদের নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ‘সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাশ্মীরি পড়ুয়ারা আক্রান্ত হচ্ছে। সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের চত্ত্বরে কাশ্মীরি পড়ুয়ারা যাতে সুরক্ষিত থাকে, তার দায়িত্ব কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। কাশ্মীরি পড়ুয়ারা যাতে কোনওভাবে আক্রান্ত না হয়, সেদিকে নজর রাখবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।’
এই ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কাশ্মীরি পড়ুয়ারা। দেরাদুনে প্রায় ১০০ জন কাশ্মীরি ছাত্রকে জোর করে হস্টেল থেকে তাড়িয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য করে হস্টেলের অন্য ছাত্ররা। উত্তরাখণ্ডের মোহালি ও হরিয়ানা থেকে প্রায় ৩০০ জন কাশ্মীরি তাঁদের বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছেন। হরিয়ানার মুলানাতে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্দেশিকা জারি করেছে যে যাঁরা কাশ্মীরি পড়ুয়াকে বাড়ি ভাড়া দেবেন, তাঁদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে করে দেওয়া হবে। প্রায় ৮০ জন কাশ্মীরি পড়ুয়াকে কলেজ কর্তৃপক্ষ অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
গত সপ্তাহে বিভিন্ন কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের হেনস্থা করার খবর সামনে আসে। প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে নজরদারি চালানোর আবেদন করা হয়েছে ইউজিসির পক্ষ থেকে। দরকার পড়লে পুলিস–প্রশাসনের সাহায্য নেবে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়, জানিয়েছে ইউজিসি।