নির্বাচনের আগে ভোট সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্যে আজ দলের শেষ কোর কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই কর্মীদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে মমতা জানিয়ে দিলেন ভোট মেশিনে কারচুপি রোখার কথা।
চলতি মাসের শেষের মধ্যেই লোকসভা ভোটের সূচী ঘোষণা করে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। তার আগেই এই কোর কমিটির বৈঠকে ভোট দুর্নীতি আটকানোর বার্তা দিলেন মমতা এবং আনলেন বিজেপির বিরুদ্ধে এক মারাত্মক অভিযোগ। মমতা জানালেন, “বিজেপি ইভিএম এবং ভিভি প্যাট ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করবে।” সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “আমাদের কাছে খবর আছে ওরা শুধু বাংলার জন্যই একটি সংস্থাকে এ সব করার জন্য ঠিক করেছে।” এর পরেই দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, “ওই যে বলছে না বাইশটা পাব, চব্বিশটা পাব, এই জন্যই বলছে। পাওয়াবো ভাল করে!”
নিঃসন্দেহে ভোটের আগে এমন আশঙ্কা এবং অভিযোগ তোলা মানে তা গিয়ে ধাক্কা মারবে নয়াদিল্লির জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরেও। কারণ লোকসভা ভোট করাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনই। গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে বিজেপির জয়ের পর ইভিএম কারচুপি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। আজ ফের সেই কথাই বললেন। তবে আগের থেকে অনেক জোরালো ভাষায় ও ভঙ্গিতে। স্পষ্ট করে দিলেন ভোট বা ইভিএম নিয়ে বিন্দুমাত্র কারচুপি তিনি বরদাস্ত করবেন না তিনি।
নজরুল মঞ্চ থেকেই নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, “কাউন্টিং-এ তাঁদের পাঠান, যাঁরা শুধু ইভিএম নয়, ভিভি প্যাটের বিষয়টা বোঝেন।” বক্তৃতা দিতে দিতেই মমতা এ ব্যাপারে দলীয় নেতাদের ট্রেনিং-এর জন্য একটি কমিটি গড়ে দেন। তিন সদস্যের ওই কমিটিতে থাকবেন দীনেশ ত্রিবেদী, সৌগত রায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলা নেতাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত এঁরা তৃণমূল ভবনে থাকবেন। জেলা সভাপতিরা এসে যেন ট্রেনিং নিয়ে যান। সব মিলিয়ে ভোটের আগে কর্মীদের ইভিএম দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করে গেলেন মমতা।