ঠেলার নাম বাবাজী। আর ভোটের নাম? সেটা ভালো বলতে পারবেন কমিউনিস্ট নেতা-নেত্রীরাই। কারণ ভোট এলেই ভোট বাক্সে ফায়দা তুলতে কমিউনিস্ট নেতা-নেত্রীরা ন্যায়-নীতি ভুলে উদ্বাহু নৃত্য শুরু করেন। ঠিক যেরকম করলেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। রায়গঞ্জে সামিল হলেন নাম-সংকীর্তনের মঞ্চে। বললেন, ধর্মের মোড়কে দর্শনের কথা। যা আদতে ক্ষয়ে যাওয়া সংগঠন বাঁচাতে ভোট ভিক্ষার নামান্তর।
এমনিতে ধর্ম বা আস্তিকতার সঙ্গে বামেদের দূর দূর পর্যন্ত কোনও লেনদেন নেই। কিন্তু সামনে ভোট। তারওপর বামেদের রাজনৈতিক অবস্থা এমনই যে চামচিকেও দূর-ছাই করে যাচ্ছে। কর্মী-সমর্থক থেকে দলের নেতা-নেত্রীদের অস্তিত্ব বিপন্ন। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের বাঁচাতে ধর্মেরই ধুয়ো ধরলেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম।
সেলিমের লোকসভা কেন্দ্র রায়গঞ্জ। সেখানকার হরিনাম সংকীর্তন আর বাউল গানের আসরে শুধু যোগ দিলেন তাই নয়, সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ারও করলেন। সমর্থক অনুসারীদের দিলেন ধর্মের পাঠ। অনুষ্ঠানে বেশ কিছুক্ষণ বক্তব্য পেশও করলেন সেলিম। বললেন, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, লালন, চেতন্যর দর্শনের কথা। বোঝালেন, এই বিভেদের সংস্কৃতি বাংলার নয়। আর সেটা বোঝানোর জন্য ধর্মেরই দ্বারস্থ হতে হল সেলিমকে।
সেলিমের আচরণ দেখে হাসছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ভোট জোগাড় করতে এবার নরম ধর্মীয় খোঁচার দ্বারস্থ হচ্ছেন অতি বাম নেতারাও। নাম-সংকীর্তনের মঞ্চে সেলিমের যোগদান সেই ধর্মের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে দেওয়ার নামান্তর। নিজের লোকসভা কেন্দ্রের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রকারন্তরে ধর্মকেই স্বীকার করে নিলেন কমিউনিস্ট নেতা মহম্মদ সেলিম।
