সবে বিদায় নিয়েছে শীত। আর কালের নিয়মেই এসেছে ঋতুরাজ। কিন্তু বসন্তের আমেজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভ্যাপসা গরম। তাতে বেজায় বিরক্তও হয়েছিল রাজ্যবাসী। এবার এই অকাল-গ্রীষ্মকে দূর হঠাতেই রাজ্যে হানা দিল অকালবৈশাখী।
পূর্বাভাস অবশ্য ছিলই। ফেব্রুয়ারির শেষে নিয়ম করেই বাড়ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। রবিবার তা পৌঁছয় ছত্রিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় আগেই কালবৈশাখীর পূর্বাভাস জারি করেছিলেন আবহবিদরা। আবহাওয়া দফতর বলেছিল, ফিরে যাওয়ার আগে এক দফা বৃষ্টি নিয়ে ফিরবে শীত।
সেই পূর্বাভাস মতোই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয় রবিবার রাতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় ঝড়-বৃষ্টিও। কোনও কোনও অঞ্চলে জোরদার শিলাবৃষ্টিও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ ছিল খুব বেশি। শুধু কলকাতাই নয়, বিস্তীর্ণ এলাকার আকাশে দেখা গিয়েছে বিদ্যুতের ঝলকানি। বৃষ্টি হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলি-সহ বহু জেলাতেই। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বাঁকুড়া ও মেদিনীপুরের একাংশে এদিন তুমুল বৃষ্টি হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার পর্যন্ত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি চলবে। আজ উত্তরবঙ্গেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলাবৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকাতেও। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে পূর্বাভাসে।
মঙ্গলবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। চলবে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিও। উত্তরবঙ্গেও বজ্র-বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। বুধবারও উত্তরবঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি চলবে। দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। অন্যদিকে, উপকূলবর্তী এলাকায় বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।