পৃথিবীতেই স্বর্গ দর্শন করতে এতদিন পর্যটকেরা ছুটে যেতেন কাশ্মীরে৷ টিউলিপ, বরফ, ডাললেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে রেখেছে কাশ্মীর৷ পুলওয়ামা হামলার পরেও ভাঁটা পড়েনি কাশ্মীরের আকর্ষণে৷
শনিবার ছিল গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ ও পর্যটন– মেলা ‘ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল’–এর দ্বিতীয় দিন। শুক্রবার থেকে ফেয়ার ফেস্ট মিডিয়া আয়োজিত এই মেলা চলছে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম সংলগ্ন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। সেখানে স্টল রয়েছে জম্বু ও কাশ্মীরের পর্যটন সংস্থা ‘দ্য কাইজার’–এর। বহু পর্যটক এসে কাশ্মীরেই ঘুরতে যাওয়ার খুঁটিনাটি জানতে চাইছেন৷
গত কয়েক বছর ধরেই ভূস্বর্গে যাতায়াত কমেছে পর্যটকদের। এখন গোদের ওপর বিষফোড়া পুলওয়ামার জঙ্গিহানা। তবে কলকাতার বাঙালি পর্যটকরা ভালই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। জানতে চাইছেন, কবে নাগাদ গেলে সমস্যা হবে না। আগ্রহীদের প্রতি তাঁদের পরামর্শ— লোকসভা ভোটের পর নিশ্চিন্তে ভ্রমণ উপভোগ করা যাবে। তবে সম্পূর্ণ আশ্বস্ত করতে পারছেন না। তাঁরা বললেন, ‘’নানা রকমের ট্যুর প্যাকেজ রেখেছি। আশা রাখছি এ বছর ভাল ব্যবসা হবে”৷
আজ, রবিবার পর্যটন–মেলার শেষদিন। সকাল ১১টা থেকে ৭টার মধ্যে গিয়ে মেলায় ঘুরে আসতে পারেন উৎসাহীরা। প্রবেশ অবাধ। দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন পর্যটনের বিষদ তথ্য নিয়ে স্টল করেছে বিভিন্ন সংস্থা। ফিচার কান্ট্রি হিসেবে থাইল্যান্ড ও ফিচার স্টেট হিসেবে হিমাচল প্রদেশকে তুলে ধরা হয়েছে। ভুটান, নেপাল, আন্দামান ও নিকোবর, চণ্ডীগড়, দিল্লি, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, মেঘালয়, সিকিম, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের পর্যটন সংস্থার স্টল রয়েছে। প্রতিটি স্টলের ব্যাকলিট বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে সেখানকার অপূর্ব সব জায়গার ছবি। এদিনও স্টলগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।