জীবিকা বলতে ভিক্ষাবৃত্তি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিক্ষা করেই যা আয় হত তাই দিয়েই দিন গুজরান হত তাঁর। যে যা দিত তাই খুশি মনে নিতেন তিনি। এই ভিক্ষাবৃত্তি করেই রাজস্থানের আজমেরের এক বৃদ্ধা নন্দিনী শর্মা ঘটিয়ে ফেললেন এক বিস্ময়কর ঘটনা। তাঁর যাবতীয় আয় দান করা হল পুল ওয়ামাতে শহীদ জওয়ানদের পরিবারের জন্যে এবং এই টাকার অঙ্ক প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকারও বেশি।
এই ভিখারিনী মারা গিয়েছেন ২০১৮ সালের আগস্টে। কিন্তু ভিক্ষা করেই তার আগে জমিয়ে ফেলেছিলেন সাড়ে ছয় লাখ টাকারও বেশি। শুধু তা-ই নয়, সঙ্গে উইল করে বলেও গিয়েছিলেন, এই টাকা যেন দেশ ও সমাজের কোনও কাজে ব্যবহার করা হয়। ট্রাস্টি করে রেখে দেওয়া হয়েছিল সেই টাকা। সেই টাকাই এ বার দান করা হল কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হানায় নিহত জওয়ানদের পরিবারগুলির জন্য।
সূত্রের খবর, আজমেরের অম্বে মাতা মন্দিরের বাইরে ভিক্ষে করতেন এই নন্দিনী শর্মা। তাঁর আয় ছোট হলেও, মন ছিল কত বড় তার প্রমাণ তিনি নীরবে রেখে গিয়েছেন। এই খবর জানাজানি হতে রাজস্থানের ওই মন্দিরে পুজো দিতে আসা বহু পুণ্যার্থী তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন।
পুলওয়ামাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরে দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁদের ক্ষোভ, কষ্ট উগড়ে দিচ্ছেন, এমন এক সময়ে প্রকৃত কাজটাই করলেন ওই ভিখারিনী। শুধু তিনি দেখে যেতে পারলেন না তাঁর কষ্টার্জিত উপার্জন তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবেই ব্যয় হল।