১৪ই ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে৷ শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান৷ হামলার পেছনে পাক মদতের প্রমাণ স্পষ্ট বলে দাবি নয়াদিল্লির৷ তারপর থেকেই আসমুদ্র হিমাচল ক্ষোভের আগুন গভীর হয়েছে৷ তার পর থেকেই আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় পাকিস্তানকে বয়কটের রাস্তায় হেঁটেছে ভারত। কূটনীতির বেড়া ডিঙিয়ে সেই বয়কট ক্রীড়াক্ষেত্রেও ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শশী থারুর মনে করেন, ‘‘বিশ্বকাপে দু’দেশের খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত৷ ভারত না খেললে তা হবে আত্মসমর্পণের থেকেও খারাপ৷’’
শুক্রবার শশী থারুর বলেন, ‘‘পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে ঠিকই৷ কিন্তু বিশ্বকাপের মতো প্রকিযোগিতায় মাঠে খেলার মাধ্যমেই তা দেওয়া উচিত৷ মনে রাখতে হবে এর আগে বিশ্বকাপের আসরে পাকিস্তান আমাদের হারাতে পারেনি৷ এই পরিস্থিতিতে ওদের সঙ্গে না খেলার সিদ্ধান্ত আত্মসমর্পণের থেকেও খারাপ হবে৷’’
প্রখ্যাত ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার অবশ্য হরভজন সিংয়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন না৷ তাঁর দাবি, খেলার মাঠে লড়াই করা উচিত৷ ক্রিকেট খেলায় মাঠে হারিয়ে বদলা নেওয়া উচিত৷ তবে খেলা হবে কিনা তা দেশের সরকারই ঠিক করবে বলে জানান দেশের প্রাক্তন এই ক্রিকেট অধিনায়ক৷ ভিন্ন পেসার হলেও এদিন গাভাস্কারের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন শশী৷
দেশবাসীর মতকে গুরুত্ব দিয়ে যুদ্ধে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ থেকে বহিঃষ্কারের পক্ষে বিসিসিাই৷ তারা এই মর্মে আবেদন করতে পারে আইসিসি-র কাছে৷ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এদিনই আলোচনায় বসেছে বিসিসিাই৷ এর আগে, কূটনৈতিক উত্তাপের জেরে ২০১৩ সালের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক কোনও সিরিজের আয়োজন করেনি ভারত-পাকিস্তান। তবে অন্য মাঠে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ।