ইস্টবেঙ্গলে পেশাদারিত্বের ছোঁয়া নতুন কোনও ঘটনা নয়। কোয়েসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ইস্টবেঙ্গলে নতুনত্বের ছোঁয়া। তবে নতুন ইনভেস্টর আসার পর যেন পাশাদারিত্বের মোড়কে মুড়ে ফেলা হচ্ছে ক্লাবকে। পড়শি ক্লাব যখন মাঠে দর্শক সমাগমের অভাবে হা-পিত্যেশ করছে, তখন লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে থাকা ইস্টবেঙ্গলের খেলায় ৩৫-৪০,০০০ দর্শক এখন আকচার ঘটনা।কোয়েস আসার পর লাল–হলুদ েয পেশাদারি মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছে, তাতে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা তো বটেই, অন্যান্য টিমের ফুটবলারদের আলোচনাতেও উঠে আসছে কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের নাম।
এরইমধ্যে লাল-হলুদের পেশাদারিত্বের তালিকায় যুক্ত হল নতুন পালক। কোয়েসের সদর দপ্তর বেঙ্গালুরুর অফিস থেকে জনি অ্যাকস্টা, সামাদ আলি মল্লিকদের জন্য পাঠানো হয়েছে ‘সিপার’ জলের বোতল। কোচ থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ, প্রত্যেক ফুটবলারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এই জলের বোতল। যার যেটা বোতল, তার গায়ে নিজের নাম লেখা রয়েছে। নামীদামি তারকা ক্রীড়াবিদরা এই সিপার ব্যবহার করে থাকেন। এই জলের বোতলের গায়ে জলের মাপ লেখা থাকে। ক্রীড়াবিদরা মূলত প্রোটিন শেক অথবা ফ্রুট জুস খেতে ব্যবহার করে থাকেন।
নতুন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ হিসেবে ক্লাব সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ওয়াটার সিপার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই শুধুমাত্র আধুনিকতার কারণেই নয়, পাশাপাশি ফুটবলারদের স্বাস্থ্যের বিষয়টিও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পিছনে। জানা গিয়েছে সহকারী কোচ তথা ভিডিও অ্যানালাইজার মারিও রিবেরার অনুরোধের ভিত্তিতেই ক্লাবে এই আধুনিকতার ছোঁয়া। একইসঙ্গে এই সিদ্ধান্তে খুশি ফুটবলার থেকে সাপোর্ট স্টাফ সবাই।