সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোয় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পুলিশকে কড়া হাতে গুজব দমনের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশ্যে কিছু দল ও গোষ্ঠী সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর খবর ও গুজব ছড়িয়ে চলেছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের হাতের বাইরে চলে না যায়, তার জন্য ২৪টি সাইবার ক্রাইম থানা এবং একটি অতিরিক্ত সাইবার ক্রাইম সেল তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রীসভায় বৈঠকে এই সাইবার ক্রাইম থানা ও সাইবার ক্রাইম সেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যের ২৪টি জেলায় ২৪টি সাইবার ক্রাইম থানা তৈরি করা হবে। এছাড়াও শিলিগুড়ি সিআইডিতে তৈরি করা হবে একটি সাইবার সেল। এই সাইবার ক্রাইম থানাতে ২৪৮টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। শিগগির এই পদগুলিতে নিয়োগ করা হবে।’ চন্দ্রিমার কথায়, ‘রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে সরকার উদ্বিগ্ন। এ ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছে অনেক নিরীহ মানুষকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এটা বরদাস্ত করবেন না। রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ায়, রাজ্যে সক্রিয় হয়েছে একটি কিডনি পাচার চক্র। কিছু এলাকায় বেশ কিছু মানুষ কিডনি পাচারকারী সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন। পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলার পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বেশ কিছু কাশ্মীরি যুবক মানুষের রোষের মুখে পড়েন। খোদ কলকাতাতেই মার খেতে হয় এক কাশ্মীরি শালওয়ালাকে। যদিও তৎক্ষণাৎ অভিযুক্তদের পাকড়াও করেছে পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সক্রিয়তায় মুগ্ধ হয়ে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইট করে ভূয়সী প্রশংসাও করেন মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু এই ধরনের পরিস্থিতির শিকার যাতে আর কাউকে না হতে হয়, সে জন্যই এই সাইবার ক্রাইম থানা ও সাইবার সেল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
