কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘরে ফেরানোর স্বপ্ন দেখিয়ে ভোট চেয়েছিলেন মোদী। শুধুমাত্রই ঘরে ফেরা নয়, উপত্যকায় তাঁদের ইজ্জতও ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে ইস্তাহারে লিখেছিল বিজেপি। কিন্তু মোদী জামানার পাঁচ বছরে সেই স্বপ্নে শুধুই কাঁটা পড়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা বলছেন, সম্পূর্ণ ফেল মোদী। আমরা সব কিছু হারিয়ে ফেলেছি।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা সংক্রান্ত মামলাগুলি নিযে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তেমন ভাবে এগোতেই পারেনি৷ মন্ত্রকের আওতায় জম্মু-কাশ্মীর দফতরের কাছে এই বিষয়ে তেমন কোনও তথ্যের খোঁজ পাওয়া৷ উপত্যকা থেকে কত পণ্ডিত পরিবারকে পালিয়ে আসতে হয়েছে, তেমন কেনও তথ্যও মেলেনি৷ বরং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জম্মু ও কাশ্মীর দফতর জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের কাছে ওই তথ্য সন্ধান করার পরামর্শ দিয়েছে৷
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার কী করেছে? এই প্রশ্নটারা বারবার ঘুরে ফিরে আসছে৷ ‘ইন্ডিয়া টুডে’র একটি প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য তিনটে সরকারি প্রকল্প চলছে৷ প্রথমটি, মাসিক অর্থ সাহায্য এবং শুকনো খাদ্যদ্রব্য রেশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়৷ দ্বিতীয়টি, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ‘রিলিফ প্যাকেজ’ এবং তৃতীয়টি ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী ‘দেব প্যাকেজ ৷’ এই তিনটে প্যাকেজের মধ্যে মোদীর সময়ে মাত্র একটি প্যাকেজ চালু হয়েছে৷ ‘ইন্ডিয়া টুডে’র আরটিআই-এর জবাবে মোদী সরকার জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে পণ্ডিতদের জন্য ৬ হাজার বাড়ি বানানো টাকা রাজ্যের সরকারকে দেওয়া হয়েছে৷ ২০১৬ সালের মধ্যেই ১১৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷
নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরে পণ্ডিতরা বাড়ি ছাড়তে শুরু করেন। আজও তাঁরা নিজেদের ঘরে ফিরতে পারেননি। আসলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হতাশ করেছেন মোদী – একথা শুধু বিরোধীরা নয়, পণ্ডিতরাও তাই মনে করেন।
