পুলওয়ামা হামলার তীব্র নিন্দা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যদি তাঁদের বিমানে করে নিয়ে আসা হত তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান সিআরপিএফ জওয়ানদের এয়ারলিফট করতে চায়নি বলেই ২৪০০ জওয়ানকে সড়ক পথে নিয়ে আসা হচ্ছিল। কেন জওয়ানদের এয়ারলিফ্ট করা হল না তার প্রতিবাদ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম সরব হয়েছিলেন। এবার তাঁর কথা মেনে নিয়েই কাশ্মীর থেকে সিএপিএফ জওয়ানদের এয়ারলিফ্ট করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ছুটিতে যাওয়ার জন্য উপত্যকায় কর্তব্যরত সিএপিএফ জওয়ানদের এয়ারলিফট করতে দায়বদ্ধ থাকবে বায়ু সেনা। এবং উপত্যকার যেকোনও প্রান্ত থেকেই সিএপিএফ জওয়ানদের এয়ারলিফ্ট করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ছুটিতে যাওয়ার সময় এবং ছুটি থেকে ফেরার সময়, উভয় ক্ষেত্রেই এই সুবিধা দেওয়া হবে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-র ডিসেম্বর পর্যন্ত কেবল মাত্র দিল্লী-জম্মু, জম্মু-শ্রীনগর, শ্রীনগর-জম্মু, জম্মু-দিল্লী সেক্টর থেকেই জওয়ানদের এয়ারলিফ্ট বা যাকে বলা হয় এয়ার ক্যুরিয়র সার্ভিস দেওয়া হতো। সেকারণেই পুলওয়ামা থেকে সিএপিএফ জওয়ানদের এয়ারলিফ্ট করা হয়নি। তাঁদের সড়কপথে নিয়ে আসা হচ্ছিল। তারপরেই ঘটে সেই মর্মান্তিক ঘটনা। সিআরপিএফের তরফে বারবার এয়ার ইন্ডিয়াকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়া কিছুতেই রাজি হয়নি। সেকারণেই পুলওয়ামা হামলার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
