রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিমের ভূমিকা নিয়ে মতামত জানালেন ইস্টার্ন ফিনল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাঁদের মতে, শরীরে ডায়াবিটিস এলে তার হাত ধরে ওবেসিটি, কোলেস্টেরল নানা অসুখ দেখা দেয় অনেকের শরীরে। এছাড়াও কিছুটা বংশগত প্রবণতা, এই সব সমস্যা থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ায় খাবার পাত থেকে কাটছাঁট হয় অনেক কিছুই। সঙ্গে ওষুধ, নিয়মিত শরীরচর্চা, প্রয়োজনীয় পথ্য এ সবও মেনে চলতে হয় নিয়ত। নিয়মিত ডিম খাওয়ায় এই সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে গবেষকদের দাবি।
এই গবেষণাপত্রের লেখক স্টেফানিয়া নোরম্যানের মতে, ‘‘শরীরে শর্করা বাড়িয়ে দেয় এমন নানা জৈবরাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে লড়তে পারে ডিম। তাই দেখা গিয়েছে, যে সব মানুষ নানা শারীরিক কসরতের সঙ্গে প্রতি দিন সেদ্ধ ডিম খান, তাঁদের ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে অনেকটাই।’’
অনিয়ম হলেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে তা অসুস্থ করে তোলে। দীর্ঘ দিন ডায়াবিটিসে ভুগলে তার প্রভাবে অন্যান্য অসুখও দানা বাঁধে শরীরে। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেনে চলতেই হয় নানা বাধা-নিষেধ। রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই অন্য ভয় থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
ডায়াবিটিস রুখতে ডিম খাবারের তালিকায় রাখতে বলছেন পুষ্টিবিদরাও। তাঁদের মতে, সেদ্ধ ডিমেও আয়ত্তে থাকবে ডায়াবিটিস। পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহর মতে, “সেদ্ধ ডিম তো ডায়াবিটিস রোখেই, আরও ভাল হয়, যদি কয়েকটি নিয়ম মেনে সেদ্ধ ডিম খাওয়া যায়”।