কলকাতা নতুন পুলিশ কমিশনার হচ্ছেন অনুজ শর্মা। আজ মঙ্গলবার এই মর্মে নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ফলে আজই কার্যভার গ্রহণ করছেন তিনি। ১৯৯১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার অনুজ। আগে এডিজি আইন শৃঙ্খলা পদে ছিলেন তিনি।
নতুন নগরপাল অনুজ শর্মা এর আগে ডিসি ইএসডি, ডিসি সাউথ-সহ কলকাতা পুলিশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। তাঁর জায়গায় নতুন এডিজি আইন শৃঙ্খলা হচ্ছেন ১৯৯২ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। তিনি এতদিন এডিজি (আইবি) পদে ছিলেন।
একইসঙ্গে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব নিচ্ছেন বিশাল গর্গ। এতদিন এই পদে ছিলেন তন্ময় রায়চৌধুরি। পাশাপাশি বারুইপুর পুলিস জেলার দায়িত্ব দেওয়া হল রশিদ মুনির খানকে।
লক্ষৌ-এর লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ শেষ করে ১৯৮৫ সালে লখনৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন অনুজ শর্মা। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৯০ সালে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। এরপরই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়া এবং সাফল্য। অতীতে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল নিরাপত্তার দায়িত্বও সামলেছেন এই আইপিএস অফিসার।
সোমবার বিকেলে নবান্ন থেকে বেরিয়ে নিউটাউনে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে ফিরে যান নবান্নে। শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে রাত পৌনে নটা পর্যন্ত বৈঠক করেন মমতা। মনে করা হচ্ছে ওই বৈঠকেই পুলিশ প্রশাসনে রদবদলের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে। তাতে বলা হয় নির্বাচনের কাজে যুক্ত কোনও অফিসার নিজের জেলায় কর্মরত থাকলে, তাঁদের বদলি করতে হবে । যদি একই জায়গায় কোনও অফিসারের ৪ বছর কিংবা ৩১ মে ২০১৯-এর মধ্যে তিন বছর পূর্ণ হয়, তাঁদেরকেও বদলি করতে হবে । ৩১ মে ২০১৭ সালের মধ্যে যে সমস্ত নির্বাচন এবং উপ নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনে যাঁরা ডেপুটি ইলেকশন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তাঁদেরও করতে হবে বদলি । একই কাজ করতে হবে পুলিশ ইনস্পেক্টর ও সাব ইনস্পেক্টরদের ক্ষেত্রেও । নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ওই নির্দেশিকা পৌঁছয় নবান্নতেও । তারপরেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।