গত ডিসেম্বর থেকেই ছক শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবারে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর হামলার ছক। আর এই গোটা পরিকল্পনার মাথা ছিল আব্দুল রশিদ গাজী। হদিশ মিলল তার। আব্দুল রশিদ গাজীকে জীবিত গ্রেফতার করতে ইতিমধ্যেই জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে৷
জানা গেছে, পুলওয়ামা বা ত্রালের জঙ্গল এলাকায় লুকিয়ে থেকে গোটা অপারেশনে মদত দিয়েছিল সে৷ সেখানকার গোপন আস্তানা থেকেই ছক সাজানো হয়েছিল৷ রশিদ গাজীর এই আস্তানাতেই পাকিস্তানে অবাধে ঘুরে বেড়ানো জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার নির্দেশ পাঠাত৷ কীভাবে হামলা চালানো হবে তার পরিকল্পনা করা হয়েছিল আজহারের নির্দেশে৷
সূত্রের খবর পুলওয়ামা হামলার মাসখানেক আগেই ইনটেলিজেন্স ব্যুরো থেকে এই হামলা সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছিল৷ বলা হয়েছিল জইশ কোনও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে৷ তবে সেই রিপোর্টকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ ফলে গোটা বিষয়ে যে গাফিলতি রয়েছে, তা স্পষ্ট হচ্ছে ক্রমশ৷ আইবি ও সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই এই হামলা বলে অভিযোগ উঠছে৷ গোয়েন্দাদের তদন্তে জানা গিয়েছিল আফগান যুদ্ধের অন্যতম মাথা আব্দুল রশিদ গাজীর হাত আছে এই হামলায়।
এই আব্দুল রশিদ গাজী একজন আইইডি স্পেশালিস্ট বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য গত ৩ জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় জয়েশ-ই-মহম্মদ সদস্য তলহা এবং উসমান। এই দুই জইশ-ই স্নাইপার কামান্ডো ছিল মাসুদ আজাহারের ভাইপো। এই ঘটনার পরই জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রতিশোধ নিতে তার গাজী বাহিনীকে পাঠায়। সূত্রের খবর, ৯ ডিসেম্বর উপত্যকায় প্রবেশ করে সন্ত্রাসবাদীরা। ডিসেম্বরের শেষে তারা পুলওয়ামায় পৌঁছয় সম্ভবত যাত্রীবাহী গাড়িতে।