যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে যাত্রার প্রথম দিনেই মুখ থুবড়ে পড়ল ‘বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস’। শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ বারাণসী থেকে দিল্লী ফেরার পথে উত্তরপ্রদেশের তুন্ডলা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বাহরেইনের কাছে আচমকাই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। শেষপর্যন্ত যান্ত্রিক ত্রুটি সারানোর পর সকাল ৮ টা ১৫ মিনিট নাগাদ ফের যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। আগামী কাল অর্থাৎ রবিবার থেকে এই ইঞ্জিন বিহীন ট্রেনের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই গোলযোগের ফলে রবিবার থেকে ট্রেনটির বাণিজ্যিক যাত্রা শুরুর ওপর প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল।
সূত্রের খবর, এদিন সকালে বারাণসী থেকে নয়া দিল্লী ফেরার পথে লাইনে চাকা পিছলে যায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। একটি গরুকে চাপা দেওয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, একটি ট্রেলিং কোচের ব্রেক জ্যাম হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি কামরায় বিদ্যুৎসংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রথম স্পিড কমে ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় নেমে আসে। এরপর ধীরে ধীরে থেমে যায় ট্রেনটি। প্রাথমিকভাবে সারাই হলেও পুরোপুরি যান্ত্রিক ত্রুটি মুক্ত করতে ট্রেনটিকে দিল্লি আনা হচ্ছে বলে খবর। তবে আপাতত সেটি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের বেশি যেতে পারবে না বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, প্রায় তিনঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার কারণে বন্দে–ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীদের অন্য দু’টি ট্রেনের সাহায্যে গন্তব্যে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার ট্রেনের যাত্রার সূচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ট্রেনের ডিজাইনার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে তিনি গর্বিত। গত সাড়ে চার বছরে ভারতীয় রেলকে উন্নত করতে অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। দিল্লী থেকে বারাণসীর মধ্যে ট্রেনটি ৯ ঘন্টা ৪৫ মিনিটে যাওয়ার কথা। গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ কিমি। এর মধ্যে কানপুর এবং এলাহবাদের ট্রেনটির দাঁড়ানোর হিসেবও ধরা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে পুরো ট্রেনটি পরিদর্শন করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন একেবারে নিজস্ব দক্ষতায় চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচফ্যাক্টরিতে ট্রেনটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রথম দিনেই মুখ থুবড়ে পড়ল ট্রেনটি।