১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডেই বিরোধীরা স্থির করে ফেলেছিলেন ইভিএমের বিরুদ্ধে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ। এবার লােকসভা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলো। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু জানিয়েছেন, ইভিএম নিয়ে আদালতে মামলা করা হবে। বুধবার রাতে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বিরোধী দলগুলোর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্মিলিত বিজেপি-বিরোধী শিবিরের দাবি, লােকসভা নির্বাচনে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত বিরোধী দলের নেতারা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নালিশ জানিয়েছিলেন ইভিএম নিয়ে। নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে একশো শতাংশ বুথে ভিভিপ্যাট ব্যবহারের জন্য আবেদন জানান তারা। গণনার সময় অন্তত ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট যাচাই করার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা বিরোধীদের স্বচ্ছ নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করে জানিয়েছিলেন, ব্যালট যুগে ফেরার কোনো প্রশ্নই নেই। বরং আগামী দিলে নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট আরও বেশি করে ব্যবহার করা হবে।
এদিকে, ২১ জানুয়ারি লন্ডনে ইভিএম হ্যাক নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। ইভিএমে কারচুপি করা যায়, এমন দাবি করেন এক হ্যাকার। তারপর কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীরা ইভিএম নিয়ে হইচই শুরু করে দেয়। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশিষ রায় গতকাল দিল্লীতে বলেন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার জন্য ইভিএম কারচুপি নিয়ে হ্যাকারের দাবির তদন্ত করা উচিত। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে সাইবার হ্যাকার সৈয়দ সুজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নির্বাচন কমিশন।