মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে বাংলার পর্যটন শিল্পের। বিদেশী পর্যটকরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন বাংলায় ঘুরতে আসার। এমনিও পশ্চিমবঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জায়গা প্রচুর। পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল সবেরই সমাহার রয়েছে এই বাংলায়। তাই বাংলার শিল্প-মানচিত্রে এ বার পর্যটনকে বড়সড় হাতিয়ার করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘রাজ্যে পর্যটন ব্যবসায় বিনিয়োগকারীরা যোগ দিতে পারেন। রাজ্য সরকার তাঁদের জমি দিতে প্রস্তুত”। তিনি আরও জানান, দফতরের নিজস্ব ৪৩টি জায়গায় পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। সেখানে জিম, সুইমিং পুল, স্কাইওয়াক, হস্তশিল্প সামগ্রী কেনার দোকান, ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। তিনটি বড় প্রকল্পের কাজ চলছে গজলজোবা, বলাগড় ও ঝড়খালিতে। উত্তরবঙ্গে নতুন ৮৯টি ট্রেক রুট চিহ্নিত করেছে পর্যটন দফতর। সান্দাকফু, টংলু, টাইগার হিলের মতো জায়গায় ‘ট্রেকার্স হাট’ তৈরি করা হচ্ছে। সভায় মন্ত্রী দাবি করেন, দার্জিলিং থেকে দিঘা— রাজ্যে পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল, নদী ছাড়াও রয়েছে বহু ঐতিহাসিক দ্রষ্টব্য, ধর্মস্থান। ফলে পর্যটনে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে গোটা রাজ্যেই। গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে ‘হোম স্টে’ ব্যবস্থার রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছে রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গেই রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার হোম স্টে।
এই অনুষ্ঠানে পর্যটন দফতরের ‘হুররে’ অ্যাপের বিষয়টি উল্লেখ করেন পর্যটনসচিব অত্রি ভট্টাচার্য। তিনি জানান, পর্যটকদের ঠিক দিশা দেখাতেই এই ব্যবস্থা। পর্যটকেরা নিজেদের বিল নম্বর দিয়ে মতামত লিখতে পারবেন ওই অ্যাপে। পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত লোকজনও দফতরের ই-মেলের মাধ্যমে নিজেদের মতামত, অভিযোগ জানাতে পারবেন।