রাফাল চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল দুর্নীতি বিরোধী শর্ত। এমনকি চুক্তির ১০ দিন আগে থেকেই অনিল আম্বানি জানতেন, রাফালের বরাত পাচ্ছেন তিনিই। এই গত ক’দিন ধরেই সোচ্চার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এবার আবারও তিনি দাবি করলেন, রাফাল চুক্তিতে গোলযোগ আছেই। অধিবেশনের শেষ দিন রাফাল চুক্তি নিয়ে সিএজি-র রিপোর্ট পেশ হয়েছে সংসদে। তা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর যুক্তি, চুক্তির দর-কষাকষিতে নিযুক্তদের অসন্তোষের কথা নেই রিপোর্টে। সুতরাং ওই রিপোর্ট গুরুত্বহীন।
বুধবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে রাহুল জানান, রাফাল যুদ্ধবিমান দ্রুত আনানোর যে যুক্তি খাড়া করেছিল সরকার, তা ভিত্তিহীন। চুক্তিতে নতুন শর্ত রাখার একমাত্র কারণ শিল্পপতি অনিল আম্বানিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাইয়ে দেওয়া। ‘দ্য হিন্দু’র নতুন প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘নতুন চুক্তির পক্ষে দুটি যুক্তি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমত, ভাল দাম। দ্বিতীয়ত, দ্রুত বিমান সরবরাহ। ওই দুটি যুক্তিই খণ্ডন করে দিয়েছে দ্য হিন্দু।’
গতকাল কংগ্রেসের সংসদীর দলের বৈঠকে রাফাল চুক্তি দুর্নীতি ছিল অন্যতম আলোচ্য বিষয়। বৈঠকে ছিলেন সােনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং, মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রমুখ। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, আসলে নতুন চুক্তিতে রাফালের দাম বেড়েছে ৫৫ শতাংশ! যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি আরও জোরদার করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রাহুল বলেন, ‘যৌথ সংসদীয় কমিটিতে এত ভয় কেন?’ তাঁর কথায়, রাফাল চুক্তি খােলসার পর নিজের আস্ফালন নিয়ে একধাপও এগােতে পারবেন না মােদী। ‘দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদন তুলে ধরে রাহুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেখলেই বুঝবেন, উনি ভীত। সেই হম্বিতম্বি আর নেই। আর সেটা রাহুল গান্ধীর জন্য নয়। সেটা কংগ্রেসের জন্য। আপনাদের সবার জন্য।’