মোদীকে হঠাতে ভোটের আগেই জাতীয় স্তরে জোট গড়ছে বিরোধীরা। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট ভাগ রুখতে ভোটের আগেই মহাজোটে সায় দিল সবাই। জোটের পক্ষে তৈরি হবে কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম বা অভিন্ন নূন্যতম কর্মসূচী। সেটি সামনে রেখেই জোট প্রার্থীরা যাবেন মানুষের সামনে। নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর একথা ঘোষণা করেছেন বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতারা।
বুধবার রাতেই দিল্লীতে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বৈঠকে করে বৈঠক করে রাহুল, মমতা, অরবিন্দ কেজরীবাল, চন্দ্রবাবু নায়ডু, ফারুক আবদুল্লারা একযোগে ঘোষণা করেন, জাতীয় স্তরে জোট তৈরি করেই তাঁরা ভোটে যাবেন। যার অর্থ, ভোটের আগেই জাতীয় স্তরে মহাজোট তৈরি হবে। সেই মহাজোট ক্ষমতায় এলে কী করবে, তার জন্য আগাম একটি অভিন্ন কর্মসূচিও তৈরি হবে। পওয়ারের ঘোষণা, এই কাজটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুলকে। দিন পনেরোর মধ্যেই এ নিয়ে ফের বৈঠকে বসবেন বিরোধী নেতারা। ২৬ ফেব্রুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী অমরাবতীতে ফের বৈঠক হতে পারে। বৈঠকের পর ‘মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান তুলে মমতা বলেন, ‘আমরা জাতীয় স্তরে একসঙ্গে কাজ করব। আমাদের ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি তৈরি হবে। প্রাক্-নির্বাচনী জোট হবে’।
জোট প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘সেভ ইন্ডিয়া আমাদের স্লোগান। ভোটের পর যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই জন্য আগেই জোট হবে। কমন মিনিমাম প্রোগামের জন্য রাহুলজি ড্রাফট তৈরি করবেন। সবাই মত দেবে। তারপর তৈরি হবে কর্মসূচী’। বিজেপি বিরোধী ভোট একবাক্সে ফেলতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর কথা বলেছেন মমতা অনেকদিন ধরে। তাঁর ফর্মুলাতে একের পর এক উপনির্বাচনে সাফল্যও এসেছে। তথাকথিত দুর্গ বলে পরিচিত গোবলয়ে পর্যদুস্ত হয়েছে গেরুয়া শিবির। বুধ-বিকেলে রাজধানীর মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা খানিকটা কংগ্রেসকে বার্তা দিয়েই জোট ফর্মুলা তুলে ধরেছিলেন। মমতার যুক্তি, আঞ্চলিক দলগুলির শক্তিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলায় তৃণমূল, অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নায়ডু, উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি ও অজিত সিংয়ের দলের জোটকে লড়তে দিতে হবে। দিল্লীতে কেজরিওয়ালের পার্টি স্ট্রং। সাতটি আসনেই জিতবে। একইভাবে কংগ্রেস নেতৃত্ব দিক মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের মতো নিজেদের হাতে থাকা রাজ্যে। অর্থাৎ দেখতে হবে, প্রার্থী দিয়ে সে যেন বিজেপির সুবিধা করে না দেয়’।
