রাজধানীর বুকে মোদী-শাহের নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে তাঁদের বিরুদ্ধেই ঝাঁঝালো আক্রমণ শানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী এবং শাহকে ‘দো গব্বর সিং’ বলে আক্রমণ করেন মমতা। সাফ বলেন, ‘দুটো গব্বর সিং আছে। যাঁদের হাতে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে।’
যন্তর-মন্তরের সামনে বিজেপি বিরোধী সমাবেশে আক্রমণাত্মক সুরে মমতা বলেন, ‘ওঁদের হাতে রক্ত। সারা শরীরে রক্ত। ওঁরা রক্ত খেয়েছেন গুজরাটে।’ মমতার কথায়, ‘আগে মায়েরা শিশুদের ভয় দেখিয়ে বলতেন, বেটা শো যা নেহি তো গব্বর সিং আ যায়েগা। আর এখন ব্যবসায়ী, কৃষক, যুবক, সাংবাদিক সবাই ভয় পাচ্ছে ওই বোধহয় গব্বর সিং এল।’
ধর্মতলার ধর্ণামঞ্চ থেকেই তেলুগু দেশম পার্টির সভাপতি তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুকে পাশে দাঁড় করিয়েই মমতা দিল্লির ধর্ণার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এ দিন সেই মঞ্চ থেকেই মমতা বলেন, ‘গান্ধীজি, নেতাজি, আম্বেদকর, রাজেন্দ্রপ্রসাদ, বিজেপি কাউকে মানছে না। আমি ১১-১২ বছর বয়স থেকে পার্টি করি। এমন সরকার আমি দেখিনি।’ গুজরাট নিয়েও মোদী-শাহকে নিশানা করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ‘গুজরাতে বিরোধী বলে কাউকে রাখেনি। সবাইকে খুন করে, দাঙ্গা করে শেষ করেছে। আবার বুক ফুলিয়ে বলেন আমার ৫৬ ইঞ্চি ছাতি। আরে ৫৬ ইঞ্চি ছাতি তো রাবণেরও ছিল।’ এজেন্সি নিয়েও তোপ দাগেন মমতা। বলেন, ‘কী করবে? জেলে পাঠাবে? মার্ডার করবে? এজেন্সি পাঠাবে? যা ইচ্ছে করে নিক। লড়াই থেকে পিছু হটছি না।’
মমতা আরও বলেন, ‘আজই সংসদের শেষ দিন ছিল। এই সরকারের মেয়াদ আর ২০ দিন। আর এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাতে পারবে না। এক্সপায়ারি ডেট হয়ে গিয়েছে। ভয়ের আর কোনও কারণ নেই। মিডিয়ার মুখবন্ধ করছে। উনি কাউকে বিশ্বাস করেন না। জয়েন্ট সেক্রেটারি থেকে আইপিএস, আইএএস, অফিসারদেরও বিশ্বাস করেন না। মন্ত্রীদের উপরেও চলছে নজরদারি। ব্যপম কেলেঙ্কারিতে কত লোককে মেরে দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে পুলিশকে মেরেছে। আমাদের ওখানে বলে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পদক ফেরত নেওয়ার কথা বলছেন। এত সাহস! পুলিস কমিশনারের ঘরে সিবিআই পাঠিয়ে দিল। অনেক সরকার দেখেছি। এত নিন্মমানের সরকার দেখেনি।’
