ব্রিগেডের পর এবার দিল্লীর যন্তর-মন্তরের ধর্না মঞ্চ থেকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘এত খারাপ সরকার আমি আগে কখনও দেখেনি। এই সরকার এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। যতই ভয় দেখাক, আমি ভয় পাই না। আজই সংসদের শেষ দিন। আর একমাস পরেই ভোট। তারপর ভয় দেখাবে কী করে?’
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ইউনাইটেড ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য নেতারা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ততইযেন আক্রমনাত্মক হয়ে উঠছেন। বুধবার দিল্লীতে কেজরিওয়ালের ধর্না মঞ্চ থেকেও একইভাবে আক্রমণ বজায় রাখলেন তাঁরা। আর তাতে অগ্রনী ভূমিকা নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মোদীর এক্সপায়েরি ডেট ওভার। আর একমাস পরই নির্বাচনী বিধি চালু হয়ে যাবে। তখন আর তিনি কিছু করতে পারবেন না। আর মাত্র ৩০ দিনের ব্যাপার। তখন আর সিবিআই, ইডি ব্যবহার করে ভয় দেখাতে পারবেন না। আর আমরা কাউকে ভয় পাইনা। কী করবে? মেরে ফেলবে, জেলে পাঠাবে? আমরা ভয় পাই না। সিবিআই থেকে শুরু করে অন্যান্য এজেন্সির ভয় দেখানো হচ্ছে। আরবিআই–সিবিআইকে শেষ করে দিয়েছে। আবার ফোন করে মিডিয়াকে বলবে এটা দেখিও না, সেটা দেখিও না। এভাবে গণতন্ত্রকে শেষ করে ফেলছে মোদী সরকার’।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ুক। দিল্লিতে কেজরি লড়াই করবে আমরা সমর্থন করব। অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু শক্তিশালী তিনি সেখানে লড়বেন। বাংলায় আমরা ৪২-এ ৪২ করব। তবে রাজ্যে রাজ্যে আলাদা লড়লেও জাতীয় স্তরে আমরা সবাই একসঙ্গে লড়ব’।
এরপরেই মোদী সরকারের চূড়ান্ত সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘এর আগে অনেক সরকার দেখেছি। কিন্তু এরকম নিচু সরকার কখনও দেখিনি। সবাই চোর আর আপনারা সাধু! গান্ধীজী, নেতাজি, আম্বেদকর, রাজেন্দ্রপ্রসাদ এরা কাউকে মানে না। বিজেপি শাসিত রাজ্যে পুলিসকে খুন করা হচ্ছে। মিটিংয়ে যোগ দিতে যাওয়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে (অখিলেশ যাদব) আটকে দিচ্ছে। বাংলায় গিয়ে বলছে পুলিসের পদক কেড়ে নেবে। দেখি কতগুলি পদক কেড়ে নেয়। এখন দেশে দু’টি গব্বর সিং। একটি মোদী এবং অপরটি অমিত শাহ। ওদের হাতে রক্তের দাগ রয়েছে। অথচ এরাই দেশে রাজত্ব করছে। একটি টাকাও না দিয়ে বলছে সব মোদী দিয়েছে, তাহলে আমরা কী করেছি? আসলে এটা এমার্জেন্সি থেকেও অনেক খারাপ সময়। মোদীবাবু, আপনি দেশকে ভাঙতে পারেন। কিন্তু আমরা দেশকে জুড়তে জানি। ‘ডেমোক্রেসি’ এখন ‘মোদিক্রেসি’ হয়ে গিয়েছে। দেশকে তাই একসঙ্গে থাকতে হবে। একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে’।
