আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তে এর আগে ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তিন দিন। এবার রাজস্থানের বিকানের জেলায় একটি জমি কেলেঙ্কারিতে রবার্ট বঢড়ার পাশাপাশি তাঁর ৭৫ বছর বয়সী মাকেও ডেকে পাঠাল তারা! মঙ্গলবারই জয়পুরে মা মৌরিন বঢড়াকে নিয়ে হাজিরা দিয়েছেন রবার্ট। সঙ্গে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। এভাবে একজন ‘সিনিয়র সিটিজেন’কে হেনস্থা করার পিছনে মোদী সরকারের ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ’ মানসিকতাই দেখতে পাচ্ছেন রবার্ট। হাজিরার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত একটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি।
রাজস্থান হাইকোর্ট ২১ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিল, স্কাই লাইট হসপিটালিটি কোম্পানির অংশীদারদের ১২ ফেব্রুয়ারি ইডি-র সামনে হাজিরা দিতে। কিন্তু তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। রবার্টের সঙ্গে তাঁর মা-ও ওই সংস্থার অংশীদার। সেই মতোই এ দিনের হাজিরা। সেই মতো ৫৫টি প্রশ্নপত্রও তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু বঢড়ার মতে, গোটাটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এ প্রসঙ্গে তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘৭৫ বছরের মাকে নিয়ে জয়পুরে ইডি-র দফতরে হাজিরা দেব। এই প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার এতটাই নীচ যে, তারা এক সিনিয়র সিটিজেন যিনি কি না নিজের মেয়েকে গাড়ি দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন, ডায়াবিটিসের কারণে ছেলেকে হারিয়েছেন এবং স্বামীকেও খুইয়েছেন তাঁকে হেনস্থা করছে। তিন তিনটি মৃত্যু দেখার পর আমি ওঁকে খালি বলেছিলাম আমার সঙ্গে অফিসে সময় কাটাতে যাতে কি না আমরা এক সঙ্গে এই শোকের মোকাবিলা করতে পারি। এখন আমার দফতরে সময় কাটানোর জন্য ওঁকেই হেনস্থা করা হচ্ছে, অভিযোগ করা হচ্ছে, অপমান করা হচ্ছে।’
রবার্ট আরও লেখেন যে, ‘যদি সত্যি বেআইনি কিছু হয়ে থাকে, তবে সরকার ৪ বছর ৮ মাস ধরে কী করছিল? ঠিক লোকসভা ভোটের প্রচারের আগেই আমাকে ডাকা হল কেন? ওরা কী মনে করছে মানুষ বুঝবেন না যে এটা নির্বাচনী ভাঁওতা?’ যদিও রবার্টের ওই ফেসবুক পোস্টের পর এখনও অব্দি এ নিয়ে মুখ খোলেননি গেরুয়া শিবিরের কোনও নেতাই।