বিশ্ব হেরিটেজ রক্ষার দায়িত্বে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে বাংলা। হেরিটেজ রক্ষার জন্য সারা বিশ্বকে দিশা দেখাতে রাজারহাটে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এক আন্তর্জাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ২১-২২ ফেব্রুয়ারি।
এই অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা হল ইউনেস্কো। কিন্তু পুরো অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর। এই কাজে ইউনেস্কোর সাথে হাত মিলিয়েছে আরো দু’টি আন্তর্জাতিক সংস্থা – ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস এবং ওয়ার্কিং পার্টি ফর দ্য ডকুমেন্টাশন অ্যান্ড কনজার্ভেশন অফ বিল্ডিং, সাইটস অ্যান্ড নেবারহুডস অফ দ্য মর্ডান মনুমেন্ট সংক্ষেপে ডোকোমোমো।
নবান্ন সূত্রের খবর, হেরিটেজ রক্ষার ক্ষেত্রে আগামী ২১-২২ চলবে এই কর্মশালা। প্রাচীন স্থাপত্য বাঁচানোর পাশাপাশি মর্ডান হেরিটেজ রক্ষার দিকেও নজর দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ইউনেস্কোর তরফে জানানো হয়েছে, বাংলার যেসব জায়গা এখনো হেরিটেজ তালিকার বাইরে, সেগুলোর দিকে নজর দিতে চায় তারা।
পর্যটন দফতরের এক কর্তা জানান, যেহেতু এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন ভারত-সহ ৩২টি দেশের প্রায় ৮০-১০০ জন প্রতিনিধি তাই আয়োজনে কোনো ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলার পর্যটনকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য পর্যটন দফতর। বিদেশি অতিথিদের অ্যাপ্যায়নের জন্য পেশাদার সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য সম্প্রতি টেন্ডার ডাকা হচ্ছে।
বিশ্বের প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে কলকাতা অন্যতম। এই শহরের আনাচেকানাচে রয়ে গেছে ব্রিটিশ স্থাপ্তত্যের ছোঁয়া। রাজ্যের দক্ষিণে রয়েছে সুন্দরবন ব-দ্বীপ অঞ্চল উত্তরে পাহাড়। বাংলার চারদিক জুড়ে যে অপরূপ প্রকৃতির পরশ এবং ঐতিহ্যশালী সংস্কৃতিকে পৃথিবীর পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের পর এই আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে আশায় নবান্ন।