আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরই কি ক্রিকেটকে আলবিদা জানাবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি? এ জল্পনা নতুন নয়। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে কথা উঠলেই সবাই একবাক্যে বলে দেন দলে তাঁর প্রয়োজনীয়তার কথা। সবাই বলেন ধোনির অভিজ্ঞতার কথা। ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ধোনি যে ভারতীয় দলের অংশ, সেটি নিয়ে কারওরই কোনো সন্দেহ নেই। তবে প্রশ্ন একটা থেকেই যাচ্ছে, ধোনি আর কত দিন খেলবেন? ধোনির অবসরের প্রসঙ্গ আরও একবার উসকে দিলেন জাতীয় নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ।
কানাঘুষা আছে, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পরপরই প্যাড-গ্লাভস খুলে রাখবেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই তারকা। নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কখনোই কোনো কথা বলেননি ধোনি। ২০১৪ সালে হঠাৎ করেই, কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়েই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। সবাই অবাক হলেও মেনে নিয়েছিল, এটাই ধোনির ধাত। অধিনায়কত্বও ছেড়েছেন একই কায়দায়। ২০১৭ সালের শুরুতে ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার ঠিক আগে দিয়ে। সেবারও সবাইকে করেছিলেন অবাক।
তিনি কবে অবসর নেবেন, এটি নিয়ে কানাঘুষার ব্যাপারে কথা বলেছেন ভারতের প্রধান নির্বাচক, এমএসকে প্রসাদ। তিনি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে এ ব্যাপারটি নিয়ে ধোনির সঙ্গে তিনি কোনো কথাই বলবেন না। কেন বলবেন না তাও বলেছেন তিনি, ‘আমরা কেউই তাঁর সঙ্গে অবসরের বিষয়টি নিয়ে কথা বলিনি। বিশ্বকাপের মতো একটা বড় টুর্নামেন্টের আগে এ–সংক্রান্ত ব্যাপারে আলাপ-আলোচনাটা ঠিকও নয়।’
ধোনি বিশ্বকাপে থাকছেন, এ ব্যাপারে প্রসাদের মন্তব্য ইতিবাচকই, ‘বিশ্বকাপের আগে আইপিএল হওয়াতে ধোনির জন্য সুবিধ হবে। সে আইপিএলের বড় বড় ম্যাচ খেলে নিজেকে তৈরি করতে পারবে। এটা তার ব্যাটিংয়ের জন্যও ভালো হবে। আমি মনে করি ধোনি যত ম্যাচ খেলবে, সেগুলো তাকে উপকৃতই করবে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে আমি তার ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্ট।’
নিউজিল্যান্ডে ও অস্ট্রেলিয়ায় ভাল ফর্মে ধরা দিয়েছিলেন মাহি। তাঁর উপস্থিতি দলকে কতটা আত্মবিশ্বাস জোগায়, তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ক্রিকেটের বাইশ গজে কি আর সত্যিই বেশিদিন দেখা যাবে না দেশের সর্বকালের সবচেয়ে সফল নেতাকে? তবে ধোনির ভবিষ্যত নির্ভর করতে পারে বিশ্বকাপে তাঁর পারফরম্যান্সের উপর। এমনটাই মনে করে ক্রিকেট মহল।