লোকসভা ভোটের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির পাত্র হয়ে ওঠাটা যেন ট্রেন্ডে পরিণত করে ফেলেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা! এবার নেটিজেনদের হাতে ট্রোলড হলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
এটা পাখিও নয়, এটা বিমানও নয়। এটা একটা নকল ভিডিও।
আপনার ভিডিও এডিটর একটু বেশিই দ্রুত। আসলটা দেখুন।
এই ট্রেনটা দেখুন, আপনার ট্রেনের থেকেও জোরে ছুটছে। এ রকমই নানা মন্তব্য ও ব্যঙ্গে ভরে উঠেছে গোয়েলের টুইটার হ্যান্ডেল। গোয়েল ট্রেন ১৮-র একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এর পরেই ঝড় ওঠে বিদ্রুপ ও সমালোচনার। সঙ্গে বইছে হাসির বন্যাও।
কিন্তু কী নিয়ে এত হাসাহাসি করছেন নেটিজেনরা? ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেন ১৮, যা পরে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ নাম প্রাপ্ত, বিপুল গতিতে ছুটে চলেছে। রেলমন্ত্রী তাঁর পোস্টে লেখেন— “এটা একটা পাখি… এটা একটা বিমান… দেখুন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগে নির্মিত ভারতের প্রথম সেমি-হাইস্পিড ট্রেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বিদ্যুৎ গতিতে ছুটে চলেছে।”
ভিডিওটি পোস্ট করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই হইচই শুরু হয় পোস্টটিকে ঘিরে। নেটিজেনদের দাবি, ভিডিওটি নকল। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস মোটেই এতটা গতিসম্পন্ন নয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, গোয়েল তাঁর পোস্টে যে ভিডিওটি ব্যবহার করেছেন, সেখানে ট্রেনটির স্পিড এডিট করে অন্তত দ্বিগুণ করা হয়েছে।
২০১৮-এর ২০ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল ‘দ্য রেল মেল’-এ প্রকাশিত হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের একটি ভিডিও। সেটিতে এই ট্রেনের যে গতি দেখা যাচ্ছে, তার সঙ্গে তুলনা করলে রেল মন্ত্রীর ভিডিওটিতে ট্রেনটির গতি বাড়ানো হয়েছে বলে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এর পরেই বিপাকে পড়েন স্বয়ং রেলমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রেনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করবে। তাই সেই উপলক্ষেই টুইটারের সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও ভিডিও-সহ পোস্টটি করেন। তবে বিকৃত পোস্ট দেখে ক্ষেপে গিয়েছেন বহু মানুষ। দাবি উঠছে পোস্টটি ডিলিট করার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রেলমন্ত্রীর টুইটারে বহাল তবিয়তে বিরাজ করছে বিতর্কিত ওই ভিডিওটি। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। পাশাপাশি নেটিজেনদের খোঁচা তো রয়েছেই। তাই ভিডিওটি ডিলিট না করে ‘ডোন্ট কেয়ার’ ভাব দেখালেও, আদতে যথেষ্টই বিড়ম্বনায় গেরুয়া শিবির।