দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে প্রায় সবকটি দলই। অন্যদিকে ষষ্ঠদশ লোকসভার সর্বশেষ অধিবেশনের আয়ুও আর মাত্র তিনদিন। আগামী সপ্তাহে সাংসদেরা লোকসভাকে বিদায় জানিয়ে যখন নির্বাচনের ময়দানে, ঠিক তখনই সংসদে ভবনের অদূরেই কার্যত শুরু হয়ে যাবে আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রাকযুদ্ধ। দেশের তাবৎ বিজেপি বিরোধী শিবির একজোট হয়ে দিল্লীতে এসে করতে চলেছে ধর্না। যার অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিবিআই ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধ যখন চরমে, তখনই মমতার দিল্লীতে এসে আন্দোলনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মোদীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে মমতা দিল্লীর ধর্নামঞ্চে উপস্থিত থাকবেন ১৩ ফেব্রুয়ারি। তাঁর উপস্থিতি ঘিরেই উত্তপ্ত হতে চলেছে দিল্লীর রাজনৈতিক পারদ। অন্ধ্রপ্রদেশকে আর্থিক প্যাকেজ ও বিশেষ মর্যাদার দাবিতে দিল্লীর রাস্তায় ধর্না কর্মসূচি নিতে সোমবারই সেখানে হাজির হচ্ছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। শুধু আসাই নয়, এই ধর্না আন্দোলনকে উচ্চকিত তীব্রতায় নিয়ে যেতে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ২০ কামরা বিশিষ্ট দু’টি ট্রেন ভাড়া করেছে। সেই দু’টি ট্রেনে চেপে বিপুল সংখ্যক মানুষ আসছেন ধর্নায় অংশ নিতে। অশোক রোডের অন্ধ্রভবনের সামনে ধর্না অবস্থান করবেন তিনি। মমতা দিল্লী এসেই ওই ধর্নামঞ্চে যাবেন।
প্রসঙ্গত, চন্দ্রবাবু নিজেও ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে মমতার ধর্নাস্থলে গিয়েছিলেন। সেখানে মমতা ও নাইডু ঘোষণা করেন তাঁরা দিল্লী আসছেন। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই অন্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে চন্দ্রবাবুর। কথা বলেছেন মমতাও। ভোটের আগে রাজ্যে রাজ্যে আরও বেশি করে আগ্রাসী মোদী বিরোধী মঞ্চকে শক্তিশালী রূপ দেওয়া দরকার। তা উপলব্ধি করেই স্থির হয়েছে, যে কোনও মোদী সরকার বিরোধী কর্মসূচিতেই এবার গোটা বিরোধী জোটের নেতানেত্রীরা উপস্থিত হবেন। সেইমতোই আপাতত লোকসভা ভোট যুদ্ধের বিউগল বাজিয়ে দেওয়া হবে দিল্লী থেকে। সেখানেই ঘোষণা করা হবে আগামীদিনের কর্মসূচি। আগামী ১৩ তারিখে মমতা যে দিল্লীতে সেই মোদী বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ভূমিকা নেবেন, তা বলাই বাহুল্য।