বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকেরই আইকন। অনেক মানুষই তাঁর অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হন। সেই পথে হেঁটেই বাংলার উন্নয়নের রথে সামিল হতে লন্ডনের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অফ সায়েন্সে সফল হয়ে এসে পুরুলিয়ার ঋষভ আগরওয়াল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে কাজ করার জন্য যোগ দিলেন তৃণমূলে।
ঋষভের কথায়, ‘গত কয়েক বছরে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের চিত্র অনেকটাই বদলে গিয়েছে। যেমন উন্নয়ন হয়েছে, তেমনই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি থেকে সমস্ত ক্ষেত্রেই আমরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। বিদেশেও দেখেছি, মানুষ মমতাকে খুব শ্রদ্ধা করেন। তিনি জঙ্গল মহলে, পাহাড়ে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন। এখানকার মানুষের জীবন–জীবিকার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। তাই তাঁর সঙ্গে কাজ করব ভেবেই তাঁর দলে যোগ দিয়েছি। ইচ্ছে আছে মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের কাছে থেকে কাজ করার।’
তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি সুশান্ত মাহাতো বলেন, ‘ঋষভ আমাদের বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর মতো ছেলেরা দলে এলে তো খুব ভাল।’ দলের জেলা সভাপতি মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বললেন, ‘আমি দেখেছি ছেলেটিকে। খুব ভাল খবর। ঋষভের মতো ছেলেরা দলে এলে খুব ভাল হবে।’
পুরুলিয়া শহরের চাইবাসা রোডের বাসিন্দা অসম্ভব মেধাবী ঋষভের পরিবারের বিশাল ব্যবসা। সেই ব্যবসার দিকে না গিয়ে এবং বিদেশের ভাল সুযোগ ছেড়ে দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছে নিয়েই তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি দলের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি পুরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর হিন্দিভাষীদের সঙ্গে বৈঠকের আগেই দলের হয়ে কাজ করেছেন। সম্প্রতি ব্রিগেডেও গিয়েছিলেন। পুরুলিয়া শহরের এজি চার্চ স্কুল থেকে ৯৬ শতাংশেরও বেশি নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে সিঙ্গাপুরের জেমস কুক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলার অফ বিজনেস ইন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং পড়তে যান। সেখানে সফল হওয়ার পর লন্ডনের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। সেখানেও সফল হয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন। বাবা শঙ্কর আগরওয়াল ব্যবসায়ী, মা সুনীতা আগরওয়াল গৃহবধূ। একমাত্র ছেলে রাজনীতিতে আসতে চান। তাতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।