তিন রাজ্যে ভরাডুবির পর এমনিতেই চাপে রয়েছে মোদী সরকার। এ সময়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপর আক্রমণ শানালেন নীতিন গাডকরী। মোদীকে খোঁচা দিয়ে প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি মনে করিয়ে দেন, ‘স্বপ্নপূরণ করতে না পারলে, জনতা তাদের পিটুনিও দেয়।’
রবিবার কারও নাম না করে গাডকরী বলেন, ‘বপ্ন দেখাতে নেতারা ভালবাসেন। কিন্তু স্বপ্নপূরণ করতে না পারলে, জনতা তাদের পিটুনিও দেয়। তাই এমন স্বপ্ন দেখাও যে পূরণ করতে পারবে।’ তাঁর কথায়, ‘আমি স্বপ্ন দেখানোদের দলে নেই, তবে যা বলি, ডঙ্কা বাজিয়ে করে দেখাই।’
নীতিনের মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক শিবির। ২০১৪-র ভোটের আগে মোদী যে সব স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তার অধিকাংশই পূরণ হয়নি। কৃষকদের উৎপাদন খরচ থেকে বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার-সহ তাঁর সহস্র প্রতিশ্রুতি কার্যত ভোটের জুমলায় পর্যবসিত হয়েছে বলে বিরোধীদের মত। গাডকরী সেদিকেই আঙুল তুলেছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দিন দশেক আগে খোদ মোহন ভাগবত দেশে বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘ভুল নীতির কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মোহন ভাগবতের কথা থেকে পরিষ্কার যে মোদীর প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে সঙ্ঘের। তাই সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ নীতিন গাডকরীর মতো নেতাদের দিয়ে মোদী ও তাঁর সরকারের নীতির সমালোচনায় অবতীর্ণ হয়েছেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব।
