নয়াদিল্লি: অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে বারবার বিজেপি অভিযোগের আঙুল তুলেছে রাজ্য সরকারের দিকে। রাজ্যগুলি বারবার জানিয়েছে সীমান্তের রক্ষক কেন্দ্রই। অমিত শাহও রাজ্যকে দুষেছেন অনুপ্রবেশ ইস্যুতে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। ইন্দো-বাংলা সীমান্তে এখনই অরক্ষিত বিস্তৃত এলাকা। নয়া তথ্যে বিতর্ক তুঙ্গে।
Read More: বিরোধীদের চাপে নতিস্বীকার কেন্দ্রের! সম্পূর্ণ করমুক্ত হওয়ার পথে জীবন ও স্বাস্থ্যবিমা
পরিসংখ্যান বলছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দীর্ঘ এলাকা এখনও অরক্ষিত। শাহেরই অধীনে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দীর্ঘ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারেনি। যদিও সেটার জন্যও অনেকাংশে রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।(Home Ministry)
একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সংসদেই স্বীকার করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।(Home Ministry) স্বীকার করা হল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দীর্ঘ এলাকা এখনও অরক্ষিত। কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ৫৬৯ কিলোমিটার এখনও অরক্ষিত।

কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে শুধু বাংলার সীমান্ত ২২১৬ কিলোমিটার, মেঘালয় সীমান্ত ৪৪৩ কিলোমিটার, অসম সীমান্ত ২৬৩ কিলোমিটার, ত্রিপুরা সীমান্ত ৮৫৬ কিলোমিটার এবং মিজোরামের সীমান্ত ৩১৮ কিলোমিটার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, এর মধ্যে ১৭৪ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার লাগানো সম্ভবই নয়। ওই এলাকা হয় বনভূমি যুক্ত, ধসপ্রবণ এবং দুর্গম।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1958457143054778847
এর মধ্যে বাংলার সীমান্তে ২২১৬ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১ হাজার ৬৪৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেওয়া হয়েছে। ৫৬৯ কিলোমিটার এখনও অরক্ষিত। এর মধ্যে ৪৫৬ কিলোমিটার এলাকা কাঁটাতার লাগানোর যোগ্য। এর মধ্যে ১৪৯ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া শুরুই হয়নি।
বাকি ৩৭৮ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৮ কিলোমিটার এলাকায় রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেনি বলে দাবি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বাকি ২২৯.৩১৮ কিলোমিটার কাঁটাতার দেওয়ার কাজ নানা জটে আটকে আছে। স্বাভাবিকভাবেই ওই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বেড়া দেওয়া নিয়ে দায় এড়াতে পারে না কেন্দ্র।