নয়াদিল্লি : বুধবারই লোকসভায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল আনে কেন্দ্রীয় সরকার। তা নিয়ে তোলপাড় হয় সংসদ। বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন বিরোধীরা। গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।(Mamata Banerjee) স্পষ্ট জানালেন, ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিলের নামে গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা বাজাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার!
Read More: বাংলা বলার অপরাধে জওয়ানের পরিবারকে নৃশংসভাবে মারধর, পুলিশি হেনস্থার শিকার বিজেপিশাসিত উত্তরাখণ্ডে
তিনটি বিল হল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন (সংশোধনী) বিল ২০২৫, সংবিধান (১৩০ তম সংশোধনী) বিল ২০২৫ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস (সংশোধনী) বিল ২০২৫। ওই বিলগুলি মূলত সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে আনা। গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোনও মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী নিজের পদের জন্য সাংবিধানিক রক্ষাকবচ না পান, তা নিশ্চিত করা হবে ওই বিলে। প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীপদে আসীন অবস্থায় কেউ যদি গুরুতর অপরাধে ৩০ দিনের বেশি জেলে থাকেন তাহলে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে।

এদিন সংসদের ভিতরে ও বাইরে ক্ষোভপ্রকাশ করতে থাকেন বিরোধীরা। লোকসভার কক্ষে বিলের কপি ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখান। এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ প্রতিবাদ বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।(Mamata Banerjee) জরুরি অবস্থার থেকেও এটি ভয়াবহ বলে এর তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এসআইআরের নামে দেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার দমন করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। এটি কেন্দ্রের আরেকটি অতি কঠোর পদক্ষেপ বলেই দাবি মমতার।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1958130673400811729
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “এই বিল এখন আমাদের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শেষ করতে চায়। আমরা যা দেখছি তা নজিরবিহীন। বিলটি ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর হিটলারি আক্রমণের চেয়ে কম কিছু নয়। বিলটি বিচার বিভাগের সাংবিধানিক ভূমিকা কেড়ে নিতে চায়। ন্যায়বিচার এবং ফেডারেল ভারসাম্যের মূল বিষয়গুলির বিচার করার জন্য আদালতের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চায়। বিলটি গণতন্ত্রকে বিকৃত করে।”