প্রতিবেদন : মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে জনসাধারণের বাকস্বাধীনতা। কেন্দ্রের শাসকদলের বিরোধিতা করার মাশুল গুনতে হয়েছে অনেককেই। বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যম। রাষ্ট্রীয় রক্তচক্ষুর কবলে পড়েছেন সাংবাদিকরাও। এবার ফুটে উঠল সেই চিত্র। বিজেপিশাসিত অসমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করল সরকার। সাংবাদিক সিদ্ধার্থ বরদরাঞ্জন এবং করণ থাপার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ তুলে নোটিশ(Summon )পাঠিয়েছে গুয়াহাটি পুলিশ।
Read More: মা’কে খুন করে মাঠে দেহ ফেলল ছেলে! হাড়হিম করা ঘটনা হিমাচলে
একইসঙ্গে আগামী ২২ আগস্টের মধ্যে গুয়াহাটি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এমনকি নির্দেশ অমান্য করলে গ্রেফতারির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। গুয়াহাটি পুলিশ সমনে(Summon )বলেছে, “আপনাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। যা যুক্তিযুক্ত। তাই আপনাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বর্তমান তদন্তের নিরিখেই কিছু তথ্য সম্পর্কে আপনাদের প্রশ্ন করা হবে।”
কোন অভিযোগ? কিসের তদন্ত? তা উল্লেখই নেই। এ নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। মুখ খুলতে চাননি গুয়াহাটি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬ ধারায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে দুই বর্ষীয়ান সাংবাদিক সিদ্ধার্থ এবং করণকে। তার মধ্যে রয়েছে ১৫২ ধারা অর্থাৎ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী দেশদ্রোহিতার অভিযোগ।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1957807836232396994?t=SxiOOsqmrEPBLykRi5vMZA&s=19
প্রসঙ্গত, গুয়াহাটি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার চিঠি লিখেছেন, ইন্সপেক্টর সৌমজ্যোতি রায় ৷ নির্দিষ্ট করে মামলার কথা না বললেও তাতে কোন কোন ধারার উল্লেখ আছে তা লেখা হয়েছে ৷ বিএনএসের ১৫২, ১৯৬, ১৯৭(১)(ডি)/৩(৬), ৩৫৩, ৪৫ এবং ৬১ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল৷ আগে আইপিসির ১২৪-এ ধারায় দেশদ্রোহিতার কথা বলা হত৷ তবে ঠিক কোন মামলায় এই দু’জনকে ডাকা হয়েছে তা নোটিশে উল্লেখ করেনি পুলিশ।