কলকাতা: জগৎজোড়া খ্যাতি রয়েছে বাংলার মসলিন কাপড়ের।(Bengal Muslin )এবার সেই মসলিনের আকর্ষণে সুদূর জাপান থেকে বর্ধমানের কালনায় ছুটে এলেন ব্যবসায়ীরা। হাতে মসলিন কাপড় নিয়ে পরখ করলেন। চরকায় সুতো কাটলেন। তাঁত বুনলেন। দেশে ফিরে গেলেন এক অনন্য অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করে।
Read More: ফের বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলার শ্রমিককে হেনস্থা, ‘দিদিকে বলো’ তে জানিয়ে মিলল সুরাহা
ইতিমধ্যেই জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই তকমা পেয়েছে মসলিন। রাজ্য, দেশ ছাপিয়ে পৌঁছে মসলিনের(Bengal Muslin)জনপ্রিয়তা পৌঁছে গিয়েছে বিদেশের আঙিনাতেও। যার সূত্র ধরেই জাপানের বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যবসায়ীরা ঘুরে গেলেন বর্ধমান জেলার কালনায়। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে কালনায় এসেছিলেন জাপানের চারজন ব্যবসায়ী। তারা মসলিন কাপড় হাতে নিয়ে পরখ করে দেখেন এবং মসলিন থেকে তৈরি শাড়ি ও অন্যান্য জামা-কাপড় স্বচক্ষে দেখে যান।

পাশাপাশি সুতো কাটা, চরকা ঘোরানো, তাঁত বোনা, রং দেওয়া সহ সমগ্র পদ্ধতি এবং পর্যায়গুলি দীর্ঘ সময় ধরে দেখেছেন জাপানের ব্যবসায়ীরা। এমনকী জাপানের প্রতিনিধিদের দেখানো হয়েছে, আংটির ভিতর দিয়ে মসলিনের শাড়ি গলে যাচ্ছে। ঠিক এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে কালনা থেকে মসলিনের স্যাম্পেল বা নমুনা গিয়েছে জাপানে। মসলিনের কাপড় তৈরির জন্য বিভিন্ন কাউন্টের সুতোর প্রয়োজন হয়। সেই নমুনাও জাপানে পাঠানো হয়েছে।
কালনা উইভার্স অ্যান্ড অর্টিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক তপন মোদক বলেন, “জাপান থেকে যে প্রতিনিধি দল এসেছিল, তারা মসলিন কাপড় দেখে উচ্ছ্বসিত। আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নমুনা পাঠানো হয়েছে। ওরা পছন্দ হলে জানাবে বলেছে। আমাদের স্থির বিশ্বাস, বাংলার মসলিনের যে খ্যাতি এবং সুনাম রয়েছে, তা এবার জাপানে ছড়িয়ে পড়বে। তার অপেক্ষায় আমরা দিন গুনছি।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1956720796984099071?t=brt_K7Rbij-XN7_mga-URg&s=19
বিগত ২০১৯ সালে মসলিনের জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। রাজ্যের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি সহ একাধিক জায়গায় মসলিনের উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। ২০২৪ সালে জিআই ট্যাগ পায় মসলিন। তাছাড়া এই মসলিনকে আরও সুদূর প্রসারিত করতে সচেষ্ট হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ। যার সূত্র ধরেই বাংলার মসলিনের চাহিদা এবং গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।