নয়াদিল্লি : দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার প্রতি অব্যাহত রয়েছে মোদী সরকারের দুয়োরানিসুলভ আচরণ। উঠেছে বঞ্চনার অভিযোগ। এখনও মেলেনি একশো দিনের কাজের টাকা। চলতি বাদল অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল প্রশ্ন করেছিল, বাংলায় একশো দিনের কাজ কবে চালু হবে? সরাসরি সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
বৃহস্পতিবার পেরোলেই সময়সীমায় ইতি। অথচ একশো দিনের কাজ চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার! বিষয়টি এখনও তারা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই এড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেবল বললেন, “দেখছি।” কলকাতা হাই কোর্ট বেশ কিছুদিন আগেই ১ আগস্ট থেকে রাজ্যে একশো দিনের কাজ চালু করতে হবে রায় দিয়েছিল। সেই রায়ের পরে কেন্দ্র কী করে সেদিকে নজর সকলেরই। কিন্তু কেন্দ্রের তরফ থেকে এখনও এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যে নেওয়া হয়নি তা শিবরাজের কথাতেই পরিষ্কার।
পাশাপাশি, কেন্দ্র যে বুধবার রাত পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকারের সূত্র থেকেও। একশো দিনের কাজ চালু করার বিষয়ে এদিন রাত পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি। কাজ চালু করা হবে নাকি হবে না, কোনও কিছুই যে রাজ্য সরকারকে জানানো হয়নি তা জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারের সূত্রে।
উল্লেখ্য, বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণেই বাংলার একশো দিনের কাজ আটকে রয়েছে সেই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে শাসক শিবির তথা তৃণমূল। তাদের অভিযোগ যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই সংসদে তৃণমূল সাংসদদের প্রশ্নে কেন্দ্র সরকারের দেওয়া উত্তর থেকেই বোঝা গিয়েছে। একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে ভুয়া জব কার্ডের শীর্ষে রয়েছে যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্কের ঝড় শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।