প্রতিবেদন : কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত-পাক ক্রিকেটীয় সমীকরণ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ক্রিকেট মহলের একাংশ। আগামী সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপ নিয়েও সংশয় রয়েছে। এর মধ্যেই লেজেন্ডস চ্যাম্পিয়নশিপে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। তা নিয়ে প্রবল ক্ষোভপ্রকাশ করলেন রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী।
সোশাল মিডিয়ায় বিসিসিআই ও কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন শিব সেনা (ইউবিটি) নেত্রী। লিখেছেন, “একেবারে নির্লজ্জ আচরণ! হ্যালো গল (গভর্নমেন্ট), পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখব না, বিষয়টার কী হল? এখনও পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে পারোনি। কিন্তু এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ শুরু করতে মরিয়া। অন্তত সেই পরিবারগুলোর কথা ভাবো, যাদের আত্মীয়রা সন্ত্রাসবাদী আক্রমণে মারা গিয়েছে। হ্যালো, বিসিসিআই, আইসিসি- রক্তমাখা টাকার পিছনে ছুটে নিজের নৈতিক দেউলিয়াপনার পরিচয় দিচ্ছ।”
এই টুর্নামেন্টেই গতবছর পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। এবছর ভারতীয় দলে দেখতে পাওয়া যাবে স্টুয়ার্ট বিনি, বরুণ অ্যারন, ইরফান পাঠান, অম্বাতি রায়ডু, ইউসুফ পাঠান, রবিন উথাপ্পা, শিখর ধাওয়ানের মতো ক্রিকেটারদের। ভারতের প্রথম ম্যাচ ২০ জুলাই পাকিস্তানের সঙ্গে। অন্যদিকে পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে শাহিদ আফ্রিদিকে। এ বছর সরফরাজ খান, সইদ আজমল, সোহেল খান এবং আমির ইয়ামিনের মতো ক্রিকেটাররা রয়েছেন।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও আক্রমণ থেকে অপারেশন সিঁদুর, নেটদুনিয়ায় একে অপরকে আক্রমণ করেছিলেন শিখর ও আফ্রিদি। সেসব কি ভুলেই গেলেন তাঁরা? উঠছে প্রশ্ন। পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের মুখোশ সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে যে প্রতিনিধিদল বেছে নেওয়া হয়েছিল সেখানে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ছিলেন। অন্যদিকে নেটাগরিকরাও ক্রিকেটারদের কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। অনেকে বলছেন, ক্রিকেটারদের ‘দেশভক্তি’ আদতে দেখনদারি ছাড়া কিছুই নয়! সরকার কেন নীরব, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।