‘মেঘ সরছে, রামধনু তৈরি হচ্ছে। আমাদের রং আলাদা হতে পারে, কিন্তু আলাদা আলাদা রং এক জায়গায় হয়েই রামধনু তৈরি হয়। একজোট বা মহাজোট যা ইচ্ছে বলতে পারেন। আজ এই রামধনুর সময় হয়েছে। এই মহান প্রচেষ্টার জন্য মমতাকে ধন্যবাদ।’ আজ ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে ২২টি বিরোধী দলের নেতাদের সাক্ষী রেখে ঠিক এভাবেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি।
বিজেপির বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী দিনে এক নতুন ভারত তৈরি করব, বিজেপিকে ভাগাব। জনতা কি ইয়েহি পুকার, আব নেহি চাহিয়ে মোদি সরকার। ৭০ বছরের এত প্রতিশোধের রাজনীতি এতদিন হয়নি। রথযাত্রার মাধ্যমে সস্তার রাজনীতি করছে বিজেপি। হিংসার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বারবার রথ নিয়ে রাজনীতি করছে, মানুষের যেন প্রাণের কোনও মূল্য এদের কাছে নেই।’
বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একত্রিত করতে মমতার যে পরিশ্রম, এদিন সে কথা একবাক্যে স্বীকার করে নেন রাহুল গান্ধীর দূত। এর পাশাপাশি মমতার এক আসনে এক প্রার্থীর তত্ত্বকেও সমর্থন করেন সিংভি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিজেপি বরাবরই ভোট বিভাজনের সুবিধা পায়। এই রামধনুর মঞ্চ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বানিয়েছেন, তাঁর মূল উদ্দেশ্যই হল ভোট বিভাজনকে রুখে দেওয়া।’ তাই তাঁর ফর্মুলা, যে দল যেখানে বেশি শক্তিশালী সেই দলই সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক।
অন্যদিকে, একই কথা বললেন মল্লিকার্জুন খাড়গেও। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট হতে হবে, এটাই ছিল খাড়গের বক্তব্যের মূল বার্তা। তিনি বলেন, মন না চাইলেও আমাদের হাত মিলিয়ে চলতে হবে। আবার খাড়গের মাধ্যমে এদিনের বিগেডে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন সোনিয়া গান্ধীও। ইউপিএ চেয়ারপার্সনের বার্তা, ‘কৃষকদের সংকট বাড়ছে। দেশ অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে সমস্যায়। গণতন্ত্রে ভরসা ফেরাতে আমি মোদীর বিরুদ্ধে এই লড়াইকে শুভেচ্ছা জানাই।’