প্রতিবেদন : শনিবারই প্রকাশ্যে এসেছে আহমেদাবাদের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট। ১৫ পাতার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচেই ছিল বিভ্রাট! প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে জ্বালানির সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাটঅফ’ অবস্থায় চলে যায়। তাতেই নেমে আসে বিপর্যয়।
স্বাভাবিকভাবেই ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, এই ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে! বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ নিয়ে ২০১৮ সালে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) সতর্ক করেছিল। ৭ বছর আগে এফএফএ জানায়, কিছু বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচগুলোর ‘লকিং ফিচার’ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ইনস্টল করা হয়েছে। যা বিপজ্জনক হতে পারে। তবে এফএফএ সেই সময় আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল। ওই ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচগুলিকে ‘অসুরিক্ষত’ বলা হয়নি। ফলে কোনওরকম পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি। এই একই ডিজাইনের সুইচই ব্যবহার করা হয়। ফলত ক্রমশ ঘনাচ্ছে সংশয়।
দুর্ঘটনার একেবারে আগের মুহূর্তে দুই পাইলটের কথোপকথনও প্রকাশ্যে এসেছে। বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে পাইলটদের শেষ মুহূর্তের কথোপকথনের রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। সেই রেকর্ড অনুযায়ী, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে এক পাইলট আর এক পাইলটকে প্রশ্ন করেন, “জ্বালানি বন্ধ করে দিলে কেন?” জবাব অপর পাইলট উত্তর দেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি।’’ অর্থাৎ কীভাবে ইঞ্জিনের সুইচ বন্ধ হল, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন পাইলটরাও।
উল্লেখ্য, এআই১৭১-এরপাইলট সুমিত সভরওয়ালের ৮২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। সহকারী পাইলট ছিলেন ক্লাইভ কুন্দার। ১১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁরও। অভিজ্ঞ দুই পাইলট ভুলবশত জ্বালানি বন্ধ করে দেবেন, তা স্বাভাবিক নয়। ফলত যান্ত্রিক গোলযোগের তত্ত্ব নস্যাৎ করা যাচ্ছে না এখনই।