কলকাতা: নীতি আয়োগের বার্ষিক রেকর্ডে প্রচ্ছদের ম্যাপে বাংলাকে দেখানো হল বিহারের জায়গায়। এই বিভ্রাট নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। এবার এই ভুলের বিরোধিতায় সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সরাসরি নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারপার্সনকে চিঠি লিখে অবিলম্বে ওই ভুল সংশোধন করার দাবি জানালেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, নীতি আয়োগের মতো সংস্থার এই ভুল, তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, এটা কোনও অনিচ্ছাকৃত ভুল নয়। এটা রাজ্যের প্রতি অসম্মানের বহিঃপ্রকাশ।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “দেশের প্রথম সারির নীতি নির্ধারক সংস্থার সরকারি নথিতে এই ভুল অনিচ্ছাকৃত বা ব্যবহারিক ভুল হতে পারে না। এটা আসলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রতি অসম্মানের প্রতিফলন। নীতি আয়োগের নথিতে এই মহাবিভ্রান্তিকর তথ্য সংস্থার অধ্যাবসায় এবং রাজ্যগুলির প্রতি সম্মানের ঘাটতির প্রমাণ।”
নীতি আয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “এই ভুল নীতি আয়োগের কর্মপদ্ধতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল। যে সংস্থার উপর নাগরিক এবং নীতি নির্ধারকরা নীতি প্রণয়নের জন্য ভরসা করে, সেই সংস্থার মান নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। নীতি আয়োগে প্রকাশিত রিপোর্টগুলির বিশ্বাসযোগ্যতাও এবার প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল।” এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অবিলম্বে নীতি আয়োগকে এ বিষয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং ভুল সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও রাজ্য সমন্বয়ের সর্বোচ্চ মঞ্চ নীতি আয়োগ। অথচ সেই নীতি আয়োগের বার্ষিক রেকর্ডে এহেন ভুল। বাংলা সংক্রান্ত নীতি আয়োগের রিপোর্টের যে প্রচ্ছদ তৈরি হয়েছে সেই প্রচ্ছদের ম্যাপে বাংলাকে দেখানো হয়েছে বিহারের জায়গায়। রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের তরফে এ নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও নীতি আয়োগের উপর আগেও অনাস্থা দেখিয়েছেন মমতা। একাধিক বৈঠকে তলব পেয়েও যাননি। এবার এহেন ‘ইচ্ছাকৃত’ ভুলে তার গ্রহণযোগ্যতা কতটা! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।