এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সমাবেশ। কিন্তু তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির আরও ৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-সহ দেশের তাবড় তাবড় রাজনীতিবিদ ও বিরোধী দলের শীর্ষনেতারা। ফলে সেই সমাবেশের দিকেই তাকিয়ে এখন গোটা দেশ। শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় থেকে সর্বভারতীয়, সমস্ত সংবাদমাধ্যমের নজর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের দিকেই। ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে দেশবাসীকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন? আর বিরোধী জোটের অন্যান্য নেতারাই বা কী বলেন? তা শুনতে উৎসুক কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী।
শুধু ৪২–এ ৪২ নয়, এই ব্রিগেড সমাবেশের মূল লক্ষ্যই হল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। যে বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মমতা। তাই আজ বাংলার বুক থেকেই বিজেপিকে ‘ফিনিশ’ করার ডাক দিতে চলেছেন তিনি। স্বভাবতই রাজ্য তথা দেশের রাজনীতিতে এই ব্রিগেড সমাবেশ ইতিমধ্যে ঐতিহাসিক আখ্যা পেয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই জনতার ঢল ব্রিগেডমুখী। কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হচ্ছেন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। শিয়ালদা–হাওড়া স্টেশন থেকে শুরু করে লঞ্চঘাট, বাসে করে মানুষ রওনা হয়েছেন সমাবেশে যোগ দিতে। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গে দূরের জেলাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই শহরে চলে এসেছেন তৃণমূল নেতা–কর্মীরা। আর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির কর্মী-সমর্থকরা শুক্রবার থেকেই কলকাতায় হাজির। সকলেই আজ মিছিল করে পৌঁছাবেন ব্রিগেডে। সকাল ৯টার মধ্যেই ভরে গিয়েছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। যেদিকে তাকানো যাবে, চারিদিকে শুধু গিজগিজ করছে মাথা। অর্থাৎ শুরুর আগেই সমাবেশকে সফল বলা চলে।
আজ সকালেই সমাবেশে যোগ দিতে শহরে পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বলেন, ‘আজ মমতাদিদি সমস্ত অবিজেপি দলকে ব্রিগেডে ডেকেছেন। কারণ মোদি-শাহ দেশের জন্য ক্ষতিকর। তাঁদের সরাতে হবে। আমিও সমর্থন করছি।’
অন্যদিকে, ঐতিহাসিক এই সমাবেশে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে বদ্ধপরিকর কলকাতা পুলিশও। গোটা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। ড্রোন দিয়ে চলছে আকাশপথে নজরদারি। উপস্থিত রয়েছেন পুলিশের বড় কর্তারাও। ব্রিগেডে আসা মিছিল নিয়ন্ত্রণ করতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে ২০০টিরও বেশি পুলিশ পিকেট। রয়েছে পুলিশের ১০টি কুইক রেসপন্স টিম। জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টাই থাকবে অতিরিক্ত ফোর্স।